Advertisment

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর মুখে রাশিয়া পিছু হঠায় জাগল আশার আলো

পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে সবপক্ষই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Russian Army

সীমান্ত থেকে তারা সেনা সরাচ্ছে। ইউক্রেন পরিস্থিতিতে আশার আলো জাগিয়ে মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করল রাশিয়া। ইউক্রেন সীমান্তে ক্রেমলিন ১,৩০,০০০ সেনা মোতায়েন করেছে। যার জেরে শেষ পর্যন্ত কী হবে? ইউক্রেন নিয়ে ঠিক এতটাই চিন্তায় গোাটা বিশ্ব। কারণ, হামলা চালানোর জন্য বিপুল অস্ত্রশস্ত্রও নিয়ে এসেছে রুশ সেনার জওয়ানরা। অতীতে ইউক্রেনে হামলার রেকর্ড আছে রাশিয়ার। যার বলি হয়েছেন ইউক্রেনের হাজার হাজার নাগরিক।

Advertisment

অন্যদিকে ন্যাটো আর মার্কিন জোটও ইউক্রেনকে বাঁচাতে বদ্ধপরিকর। তারাও গোপনে পোল্যান্ড এবং রোমানিয়া সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। দিনরাত চলছে তাদেরও প্রস্তুতি। এই টানটান উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট জানাল, তারা ধীরে ধীরে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরাচ্ছে।

দু'পক্ষই পরস্পরের কাছে গতিবিধি গোপন রেখে যুদ্ধপ্রক্রিয়ার পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও প্রতিপক্ষের বহু গতিবিধির খবরই অপরপক্ষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তারমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো বারবার রাশিয়ার কাছে হামলা না-চালানোর আবেদন জানিয়েছে। একইসঙ্গে যাবতীয় বিষয় আলোচনার টেবিলে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য মস্কোর কাছে অনুরোধ করেছে।

আরও পড়ুন- এবার ১২ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পথ আরও মসৃণ হল

একইসঙ্গে, আমেরিকা এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো রাশিয়াকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, হামলা চালালে, তার ফল ভুগতে হবে। একধাপ এগিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তো স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, রুশ এবং মার্কিন সেনা মুখোমুখি হলে, সেটা হবে আসলে বিশ্বযুদ্ধই। এমন রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতেই সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর দাবি করল রাশিয়া। ইতিমধ্যে শীর্ষস্থানীয় রুশ কূটনীতিবিদও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যাবতীয় সমস্যা আলোচনার টেবিলে মেটানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

তারমধ্যেই যেন একটু হলেও আশার আলো দেখা গেল রাশিয়ার সেনা সরানোর দাবিতে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত মূল সমস্যাই মেটেনি। ইউক্রেন-সহ প্রাক্তন সোভিয়েতভুক্ত দেশগুলোকে ন্যাটোর জোটে না- নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন রাশিয়া। মস্কোর দাবি, ওই দেশগুলো ন্যাটোভুক্ত হলে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। অন্যদিকে স্বাধীন বিদেশনীতির কথা মাথায় রেখে রাশিয়ার অনুরোধ পত্রপাঠ খারিজ করেছে ন্যাটো এবং আমেরিকা। ফলে, জল এখন কোনদিকে গড়ায়, তা যেন স্রেফ সময়ই বলতে পারে।

Read story in English

russia NATO US Troop
Advertisment