রাশিয়া ইউক্রেনের সংকটের মুখে পড়ে প্রায় ৬৫ লক্ষ মানুষ আজ তাদের ঘড়বাড়ি হারিয়েছেন সেই সঙ্গে ৩২ লক্ষের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। শুক্রবার এমনই তথ্য তুলে ধরল রাষ্ট্রসংঘ। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের তথ্য মতে মাত্র তিন সপ্তাহে এত বিপূল পরিমাণে মানুষের দেশ ছাড়ার ঘটনা রেকর্ড। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ যুদ্ধের কারণে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। রাস্ট্রসংঘ আরও দাবি করেছে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইউএনএইচসিআর, রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থা, এদিন জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে গুরুতর শরণার্থী সংকটের সৃষ্টি করেছে এই যুদ্ধ। ইউএনএইচসিআর শুক্রবার প্রকাশিত তার সর্বশেষ পরিসংখ্যানে উল্লেখ করেছে ৩২ লক্ষেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশি দেশে চলে গিয়েছেন।
এদিকে ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা বিবেচনা করে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আলোচনার প্রস্তাবি দিয়েছিলেন জেলেনস্কির। এখনও তাতে সাডা় দেয়নি রাশিয়া। তার মাঝেই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি নিয়ে শোরগোল পড়েছে। তাদের দাবি, পশ্চিম ইউক্রেনে হাইপারসনিক কিনজাল মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। আইএফএক্সের প্রতিবেদনে যা উঠে এসেছে। রুশদের আরও দাবি যে, ওডেসার কাছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর রেডিও রিকনেসান্স কেন্দ্রগুলিও ধ্বংস করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ইউক্রেনে অসহায় মানুষের পাশে থাকার বার্তা মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রধানের
দিন যত এগোচ্ছে, ইউক্রেনে ততই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে মস্কো। রাজধানী কিভ ছাড়াও ইউক্রেনের একাধিক শহরে জারি রয়েছে রুশ হামলা। চলছে গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এরমধ্যেই আজভ সাগরও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।
রুশ হামলা শুরু হতেই বহু ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়েছেন। কিন্তু থাকতে বাধ্য হচ্ছেন আরও অনেকে। যুদ্ধে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপরাধ মানুষদের দেশ থেকে বার করতে মানবিক করিডরের দাবি জানিয়েছিল ইউক্রেন। সেই মতো ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ১০টি সেফ করিডর খোলা হবে মনে করা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক। তাঁর কথায়, রুশ সেনা আবৃত মারিউপোল শহরের জন্য একটি করিডোরে সম্মত হয়েছে মস্কো। যদিও অস্থায়ী সংঘর্ষবিরতির সময় সাধারণ নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ায় ইউক্রেন প্রশাসনের পূর্ব প্রচেষ্টা বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। যা নিয়ে একে অন্যের দিকে আঙুল তুলেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।