ফের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হানায় কেঁপে উঠল, ইউক্রেন। ইউক্রেনের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের লভিভ এবং ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে, অঞ্চলে ব্যপক বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , 'কিয়েভ সহ ইউক্রেনের একাধিক অংশে রুশ হামলা জারি রেখেছে'। সূত্রের খবর এই হামলার ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছেন। হামলা প্রসঙ্গে লভিভের মেয়র আন্দ্রি সাদোভি বলেছেন, 'সকাল থেকে শহরে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়'।
এদিকে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি বলেছেন যে দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনা নির্যাতন এবং অপহরণের মত ঘটনা অব্যাহত রেখেছে। এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি জানান, তাঁর সেনা প্রবল বিক্রমে যুদ্ধ করছে তবে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে পরিস্থিতি জটিল। মারিওপোলেও ভয়াবহ লড়াই চলছে। এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে আড়াই থেকে তিন হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা হাজার দশেক। যুদ্ধে অসংখ্য সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও সেই সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। এদিনের সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, প্রায় ৫০ দিনের বেশি ধরে চলা যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ১৯ থেকে ২০ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে।
রুশ যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংসের পাল্টা হিসাবে কিয়েভের একাধিক অংশে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কিয়েভ, দক্ষিণের খেরসন, পূর্বাঞ্চলীয় খারখিভ এবং পশ্চিমের ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সেই সঙ্গে শহর জুড়ে বেজে ওঠে যুদ্ধের সাইরেন। ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে হামলার কারণে কিয়েভের কিছু অংশ বিদুৎহীন হয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি যুদ্ধে পরমানু অস্ত্রের ব্যবহারের হুমকি দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার তরফে। এ প্রসঙ্গে উক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি বলেন, " আমাদের অপেক্ষা না করে এখন থেকেই তৈরি হওয়া দরকার"। যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫১ জন সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। আহত অন্তত হাজার তিনেক সেনা। এই পরিস্থিতিতে তারা পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কাও রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলের।
Read story in English