জারি রয়েছে যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মৃত্যু-মিছিল। বুধবার ন্যাটো জানিয়েছে, ইউক্রেনে চার সপ্তাহের যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৭ থেকে ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের একের পর এক শহরে রুশ সেনা ঢুকে পড়লেও এখনও পুরোপুরিভাবে যুদ্ধ-জয়ের ঘোষণা করতে পারেনি রাশিয়া।
যুদ্ধের প্রতি মুহূর্তে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে রুশ সেনাবাহিনীকে। অন্যদিকে, ইউক্রেনে মাত্র এক মাসের যুদ্ধে হাজার-হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। ন্যাটো জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ১০ বছরে ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছিলেন।
এদিকে, ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে রাশিয়ার যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেড গুগলের নিউজ এগ্রিগেটর পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এই পরিষেবার মাধ্যমে ইউক্রেনে দেশের সামরিক অভিযান সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন- বাড়ল যুদ্ধের তীব্রতা, ধ্বংস চেরনোবিল গবেষণাগার, ধুন্ধুমার লড়াই মারিউপোলে
অন্যদিকে, ইউক্রেনের মানবিক সঙ্কট নিয়ে রাশিয়ার প্রস্তাবে সহমত দেওয়া নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য ১২ সদস্যের সঙ্গে ভারতও বিরত ছিল। রাশিয়ার খসড়া প্রস্তাবটি সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং বেলারুশের সহযোগিতায় আনা হয়েছিল। সেই প্রস্তাব বুধবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হয়নি। কারণ, এই প্রস্তাব পাসের জন্য প্রয়োজনীয় ৯টি সমর্থন বা ভোট মেলেনি। রাশিয়া এবং চিন এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনও দেশ ভোট দেয়নি। ভারত ও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাকি সদস্যরা ভোটদানে বিরত ছিল।
এদিকে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, ‘দ্য কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ’ বা কোয়াড-এর সদস্য হিসেবে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী বলেই মনে করে আমেরিকা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাপারে ভারতের দাবির সঙ্গেও আমেরিকা সহমত। যদিও, মার্কিন প্রশাসনের এই বক্তব্যের আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও ইউক্রেনের গুরুতর পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গোটা বিশ্বে বিপর্যয় ডেকে এনেছেন বলে মনে করেন জনসন। মোদীর সঙ্গে কথায় পুতিনের কড়া সমালোচনা করেছেন জনসন।
Read story in English