একাধিক দেশের তরফে যুদ্ধ থামানোর আবেদন করা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে। হয়েছে বারবার আলোচনা, কিন্তু কোনও কিছুই কাজে আসেনি। এবার একই আবেদন রাখলেন পোপ ফ্রান্সিস। পোপের কথায়, ‘যুদ্ধ হল পাগলামি।’ ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা প্রসঙ্গে রবিবার বক্তব্য রাখেন পোপ। সেই বক্তব্যেই পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে জনতার উদ্দেশে তাঁর সাপ্তাহিক ভাষণে পোপ বলেন যে এটি কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং একটি যুদ্ধ যা ‘মৃত্যু, ধ্বংস এবং দুর্দশার বীজ বপন করে।’ পোপের আরও সংযোজন, ‘ইউক্রেনে রক্ত ও অশ্রুর নদী প্রবাহিত হচ্ছে'।
সেই শহিদ দেশে প্রতি ঘন্টায় মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।’ পোপ ফ্রান্সিসের কথায়, ‘যুদ্ধ হল একটা পাগলামি, দয়া করে থামুন। নিষ্ঠুরতা বন্ধ করুন।’ পুতিনের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শব্দটিই পছন্দ নয় পোপ ফ্রান্সিসের। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের খবর কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের সাহসেরও প্রশংসা করেছেন পোপ ফ্রান্সিস।
এদিকে সুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিরাপদে বের করতে আনার জন্য রাশিয়ার তরফে যে সেফ করিডরের কথা বলা হয়েছিল তা আদতে মানা হয়নি। এনিয়ে বেজায় ক্ষুদ্ধ ভারত। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে গত ১২ দিনে ২০ হাজারেরও বেশি নাগরিককে উদ্ধার করেছে ভারত। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এমনটাই জানালেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার উপর আরও বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে আমেরিকা, কথা ইউরোপীয় জোটসঙ্গীদের সঙ্গেও
সেই সঙ্গে সেফ করিডর প্রশ্নে রাষ্ট্রসংঘের কাছে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিরুমূর্তি। মঙ্গলবার সকালেই রোমানিয়ার সুকিয়েভা শহর থেকে বিশেষ বিমানে দিল্লি এসে পৌঁছন ২০০ জন ভারতীয়। অধিকাংশই পড়ুয়া। কেন্দ্র জানিয়েছে, গতকালই অপারেশন গঙ্গার শেষ বিমান ছেড়েছে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট থেকে।
এদিকে, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মস্কোর স্থানীয় সময়ে যুদ্ধবিরতি ডাকবে রাশিয়া। কিয়েভ, টেরনিগভ, সুমি এবং মারিউপোল শহর থেকে মানব করিডর তৈরি করে নাগরিকদের বের করার জন্য এই যুদ্ধবিরতি করা হবে। তবে রাশিয়ার শর্ত আছে, তুলনায় শান্তিপূর্ণ পশ্চিম ইউক্রেন নয়, নাগরিকদের রাশিয়ায় যাওয়ার জন্য এই মানব করিডর করা হবে।
সোমবার তৃতীয় রাউন্ডের আলোচনায় বসে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। সেখানেই নাগরিকদের সেফ করিডর করে শহর থেকে বেরোতে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। রাশিয়া প্রস্তাব দেয় উদ্ধারকাজের রুট রাশিয়া এবং তার জোটসঙ্গী বেলারুশ পর্যন্ত হবে। পশ্চিম ইউক্রেনে নয়।