বিশাল বিস্ফোরণ! রাতের খারকিভের আকাশ আলোয় ঝলসে উঠল। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ রুশ হানায় নাজেহাল অবস্থা। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রালয়ের টুইট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে রুশ হানায় একের পর বিল্ডিং তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়েছে। এর মধ্যেই রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে পড়ে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। যা মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান মাত্র সাতদিনের। ২০২০ সালের শেষে ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লক্ষ। রাষ্ট্র সংঘের ভবিষ্যৎবাণী এইরকম অবস্থা চলতে থাকলে ৪০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ ইউক্রেন ছাড়তে পারেন।
রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি টুইটারে লিখেছেন "মাত্র সাত দিনে ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলিতে এক মিলিয়ন শরণার্থীর প্রস্থান আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।" এদিকে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে ভারতীয়দের আর খারকিভে রাখার ঝুঁকি নিতে পারছে না বিদেশ মন্ত্রক। ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস তাই অবিলম্বে ভারতীয়দের খারকিভ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর যুদ্ধের ঝাঁঝ আরও বাড়াবে এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন ‘ইউক্রেনে ভারতীয়দের জোর করে আটকে রাখার খবর নেই’, রাশিয়ার দাবি নস্যাৎ ভারতের
খারকিভে সম্প্রতি এক ২১ বছরের ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়া নিহত হয়েছেন। রুশ গোলার আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ। গত দু’দিন ধরেই খারকিভে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। ইউক্রেনের সরকারি মতে এই হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন। বেসরকারি মতে সংখ্যাটা অনেক বেশি।
রাশিয়া যখন ইউক্রেন সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছে, সেই সময় বুধবার রাতেও খারকিভে লাগাতার হামলা চালিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে খারকিভের পুলিশ এবং গোয়েন্দা বাহিনীর সদর দফতরের কার্যালয়ে। সেই হামলায় অন্ততপক্ষে চার জন নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করে নিয়েছে ইউক্রেন প্রশাসন।