২৭ তম দিনে পড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। লাগাতার হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। এদিকে, ইউক্রেন দখলে নাছোড়বান্দা রাশিয়াও আক্রমণের ধার বাড়িয়ে গোলা-গুলিবর্ষণ করেই চলেছে। এই অবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চান। তার বদলে তিনি ন্যাটোর সদস্যপদ চাইবেন না।
জেলেনস্কি অবিলম্বে যুদ্ধের সমাপ্তি চান। ইউক্রেনের সুরক্ষার গ্যারান্টির বদলে তিনি চান, রাশিয়া তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করুক। তার জন্য ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ চাইবে না। সোমবার একটি ইউক্রেনীয় চ্যানেলে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, "এটাই সবার জন্য যোগ্য সমঝোতা। পশ্চিমী দুনিয়ার জন্য যারা জানে না ন্যাটো ইস্যুতে আমাদের সঙ্গে কী করা হবে, আর ইউক্রেনের জন্য যে নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায়, আর রাশিয়া যারা চায় না ন্যাটো বিস্তার লাভ করুক।"
তিনি ফের রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করা পর্যন্ত এটা জানা অসম্ভব আদৌ রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে চায় কি না।" জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন ক্রিমিয়া এবং রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অধিকৃত ডনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তার বদলে যুদ্ধবিরতি এবং নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায় ইউক্রেন।
আরও পড়ুন মাথানত করবে না ইউক্রেন, রাশিয়ার চূড়ান্ত সময়সীমার পালটা বার্তা জেলেনস্কির
এদিকে, মারিউপোলের আত্মসমর্পণের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল মস্কো। সেই সময়সীমাকে কার্যত মজার ছলেই উড়িয়ে দিল কিয়েভ। রাশিয়া জানিয়েছিল, তাদের হামলা থামাতে হলে সকাল ৫টার মধ্যে মারিউপোলকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। রাশিয়ার তরফে কর্নেল- জেনারেল মিখাইল মিজিন্তসেভ রবিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সোমবার তা প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেসচুক পরিষ্কার জানান, আত্মসমর্পণের প্রশ্নই নেই। আত্মসমর্পণ নিয়ে কোনও কথাও হয়নি। অস্ত্রসংবরণেরও প্রশ্ন নেই। একথা রাশিয়াকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বন্দর শহর মারিউপোলে রুশ বাহিনী চরম বাধার মুখে পড়েছে। তাদের থেকে মারিউপোল ইউক্রেন ফের দখল করে নিয়েছে বলেই জানান ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী।