ফের দুবছর পর করোনা ঢেউ! আর তাতেই নাজেহাল অবস্থা চিনের। শুধু চিনেই নয়, করোনা চোখ রাঙাচ্ছে ইউরোপ থেকে এশিয়ার একাধিক দেশে। ফের লকডাউনের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্বের একাধিক দেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিমধ্যেই করোনায় মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। দেশে শিথিল হতে চলেছে কোভিড বিধি। এমন অবস্থায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাবধানবানী, আসন্ন শীতে ফের দাপট দেখাতে পারে করোনা সেই সঙ্গে করোনা সংক্রমণের হাত ধরে দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে পঞ্চম ঢেউ।
ইতিমধ্যেই চিন সহ বিশ্বের একাধিক দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। দেশের একাধিক শহরে জারী করা হয়েছে লকডাউন। নতুন প্রজাতির দাপটে নাজেহাল অবস্থা বিশ্বের। এর মাঝেই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে ওমিক্রন ঠেকাতে ভরসা বুস্টার ডোজ। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস শুক্রবার এক রিপোর্টে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় মোট করোনার বলি ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ।
আরো পড়ুন:সাংহাইয়ে অব্যাহত করোনা দাপট, শিশুদের আইসোলেশন নিয়ে বাড়ছে অসন্তোষ
তবে সরকার "শীঘ্রই" জাতীয় বিপর্যয়কে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে এবং দেশে একটি বাধ্যতামূলক করোনা ভ্যাকসিন নীতি চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই ভলেই সংসদে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ডেভিড মাবুজা। মাবুজা এদিন বলেন, ‘আমরা কখনই মানুষকে জোর করে টিকা দিতে পারিনা। আমরা কেবল টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে বোঝাতে পারি’।
মাবুজা বলেছেন গত সপ্তাহেই কোভিড বিধি শিথিল করার জন্য মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়ার এক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাতে অনেকেই তাদের উৎসাহ প্রকাশ করেছে। মাবুজা আরও বলেছিলেন যে পঞ্চম ঢেউয়ের সতর্কতা সত্ত্বেও কোভিড বিধি এবার দেশের অর্থনৈতিক ভিতকে চাঙ্গা করতে তুলে নেওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন পঞ্চম ঢেউয়ের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দেশে পঞ্চম ঢেউয়ের প্রভাব সেভাবে ব্যপক আকারে পড়বে না। সেই সঙ্গে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা দেশের মানুষকে জরুরী ভিত্তিতে টিকার আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছে।
Read full story in English