মাটি সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ৯ এবং ১০ মে আইভরি কোস্টের আবিদজানে মরুকরণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাষ্ট্রসংঘের সভায় বক্তব্য রাখবেন ইশা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদগুরু। সভায় উপস্থিত থাকবেন ১৯৫টি দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। সেই সভাতেই সমাজসেবী হিসেবে সদগুরু মাটি সংরক্ষণ নিয়ে তাঁর ভাষণ দেবেন। এমনিতে আধ্যাত্মিক সংগঠনের নেতা হলেও সমাজসেবী হিসেবে সদগুরুর আন্তর্জাতিক পরিচিতি রয়েছে।
মাটি সংরক্ষণের লড়াইকে তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তিনি মাটি সংরক্ষণের প্রচার চালিয়েছেন। বর্তমানে এই প্রচারের লক্ষ্যে ১০০ দিনের একটি একক মোটরসাইকেল যাত্রায় অংশ নিয়েছেন সদগুরু। দীর্ঘদিন ধরেই ' সেফ সয়েল' নিয়ে বিশ্বব্যাপী এভাবে কাজ করায় তাঁকে আবিদজানে কনফারেন্স অফ পার্টিজ বা (কপ ১৫)-এর অধিবেশনের মূল বক্তা হিসেবে বাছা হয়েছে।
অধিবেশনের থিম- 'ভূমি, জীবন, উত্তরাধিকার: অভাব থেকে সমৃদ্ধি।' এই অনুষ্ঠানে মাটির সংরক্ষণে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের তাঁদের দেশে আইনি সংস্কারেরও আহ্বান জানাবেন সদগুরু। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর বক্তৃতার খসড়া তৈরিও করেছেন। বর্তমানে তাঁর ৩০ হাজার কিলোমিটার মোটরসাইকেল যাত্রায় সদগুরু বিশ্বস্তরের নেতা, বিজ্ঞানী, পরিবেশ সংস্থা, মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করছেন, 'মাটিকে বিলুপ্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে জরুরি নীতি, পদক্ষেপ গ্রহণ'-এর অনুরোধও করছেন।
আরও পড়ুন- সরকারি নথির চেয়ে তিনগুণ বেশি মৃত্যু হয়েছে করোনায়, দাবি হু-র
ইশা ফাউন্ডেশনের মতে, এই উদ্যোগের প্রাথমিক লক্ষ্য হল, 'মানব জাতিকে নিশ্চিত করা। বিশ্বের বিভিন্ন কৃষিজমিতে ন্যূনতম ৩ থেকে ৬ শতাংশ জৈব উপাদান রয়েছে। সেগুলোকে রক্ষা করা। সঙ্গে, মাটিকে উত্পাদনশীল করে রাখা।' সদগুরুর মতে, এটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করবে। পাশাপাশি, মানুষ-সহ বিভিন্ন প্রজাতির বিলুপ্তি রোধ করবে। তার সঙ্গে জীববৈচিত্র্যও রক্ষা করবে। গোটা বিশ্বেই বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে কাজ চলছে। তার সঙ্গে সদগুরুর এই উদ্যোগ মানানসই হওয়ায়, বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
Read story in English