Same Sex Marriage certificates in Japan:সমলিঙ্গ দম্পতিদের জাপানে বিশেষ শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক বিয়ের স্বীকৃতি নয়। তবে, ব্যাপারটা অনেকটা বিয়ের মতই। জাপানে এখনও সমকামী বিবাহ আইনসিদ্ধ নয়। তবে, জাপানের রাজধানী টোকিওতে সমলিঙ্গ দম্পতিদের এমন এক শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে, যার সাহায্যে সমলিঙ্গ দম্পতিরা বিবাহিত যুগলের মত থাকতে পারবেন। আর, যাবতীয় সরকারি সুবিধাও পাবেন। টোকিওর বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি বিভাগ থেকে এই শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে।
এমনিতে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জাপান বাদে সব দেশই সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাপানও ক্রমশ সেই পথেই হাঁটছে। তারই প্রমাণ হিসেবে সমলিঙ্গ দম্পতিদের শংসাপত্র দেওয়ার প্রথা চালু হয়েছে। তবে, এই প্রকল্প নতুন নয়। ২০১৫ সালেই তা ঘোষণা করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, বিয়ের শংসাপত্র না হলেও এই সার্টিফিকেটের দৌলতে সমলিঙ্গের মানুষরা বিবাহিত দম্পতির মত থাকতে পারবেন। অসমলিঙ্গ দম্পতিদের মতই তাঁরা যাবতীয় সরকারি সুবিধা পাবেন।
সেই সুবিধাই এবার টোকিওর আরও ৯টি ওয়ার্ডে দেওয়া শুরু হল। পাশাপাশি, আরও ৬টি শহরেও সেই সুবিধাদান চালু হল। সব মিলিয়ে জাপানের রাজধানীর সর্বত্র বিবাহিত দম্পতিদের মত সার্টিফিকেট পাবেন সমকামী দম্পতিরা। টোকিওয় সমকামীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ। তাঁরা এই সরকারি প্রকল্পের আওতায় আসবেন।
আরও পড়ুন- সময় ঘনিয়ে এল রোহিতের, খারাপ ফর্মেও কেন হার্দিক বিশ্বকাপে, বোর্ডের বড় রহস্য ফাঁস
জাপানে সমকামী বিবাহকে কি স্বীকৃতি দেওয়া উচিত? এনিয়ে ২০২১ সালে একটি সমীক্ষা হয়েছিল। তাতে, জাপানের প্রায় ৫৭ শতাংশ মানুষই সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে সায় দিয়েছিলেন। বিরোধিতা করেছিলেন ৩৭ শতাংশ বাসিন্দা। তারপরও জাপানের জনসংখ্যা ক্রমশ কমছে, এই যুক্তি দেখিয়ে সেখানে সমকামি বিবাহকে বৈধতা দেয়নি সরকার। তবে, নতুন পদক্ষেপে সমকামী দম্পতিদের যৌথ আবাসন, স্বাস্থ্য, খাদ্য-সহ জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের অংশীদার হতে বাধা দূর হল।