Advertisment

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় বড় অসুবিধার মুখে ভারতও

এবার তাহলে অস্ত্র কোথা থেকে কিনবে, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নয়াদিল্লিকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
modi speaks with russias vladimir putin says call for dialogue on ukraine issue

মোদী-পুতিন ফোনালাপ

প্রায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কেনে ভারত। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্রে রাশিয়া ছিল অন্যতম সেরা শক্তি। সেই সময় রাশিয়া নয়, ছিল সোভিয়েত রাশিয়া। পরে সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে গেছে।

Advertisment

বর্তমান রাশিয়া বিশ্বে আর সোভিয়েত রাশিয়ার মতো শক্তিধর নয়। তবে, নেহাত কম শক্তিশালীও না। আর, সেই কারণেই রাশিয়া থেকে ভারতের অস্ত্র কেনার ছবিটাও তেমন একটা বদলায়নি। কিন্তু, অতি সম্প্রতি ইউক্রেনে হামলার জেরে গোটা বিশ্বে রাশিয়া এখন কোণঠাসা। আর, তার প্রভাব পড়বে ভারতেও। মস্কো থেকে আর অস্ত্র কিনতে পারবে না নয়াদিল্লি। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এবং পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহ-সচিব ডোনাল্ড লু।

ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতকে পাশে পেতে মরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন সেনেটের বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির কাছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ব্যাপারে বলতে গিয়ে এই কথা জানান ডোনাল্ড লু। একইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা কেনার জন্য ভারতের মতো এক নিরাপত্তা সহযোগীর বিরুদ্ধে অবশ্য আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কোনও প্রশ্ন নেই।

তবে, রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর ওপর যেভাবে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চেপেছে, তাতে আগামী মাস বা বছরে মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লিরই শুধু নয়, বাকি দেশগুলোরও আর্থিক লেনদেন কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ার কথা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবগুলোয় ভোটাভুটি থেকে ভারত বারবার বিরত থাকছে। আর, এর প্রেক্ষিতেই ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সহযোগী দেশগুলো। এনিয়ে সরাসরি নয়াদিল্লির সঙ্গে কথাও বলেছে ওয়াশিংটন।

আরও পড়ুন- বিক্ষোভ থামাতে নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমেরই পায়ে শিকল পরাচ্ছেন পুতিন

ভারত তার অবস্থান পরিষ্কার করে আগেই জানিয়ে দিয়েছে, শান্তি চাই। যুদ্ধ চাই না। যাবতীয় সমস্যা মেটানো হোক আলোচনার টেবিলে। সম্পূর্ণ কূটনৈতিক মাধ্যমেই সমাধান হোক সমস্যার। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় যে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারত আরও কড়া অবস্থান নিক। ভারত বিষয়ক এই বৈঠকে ভারতীয় গণতন্ত্র, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, কাশ্মীর সমস্যা-সহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

Read story in English

russia USA
Advertisment