গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে একটাই প্রশ্ন, কবে করোনা থেকে মিলবে মুক্তি! কবে আবার সব কিছু স্বাভাবিক হবে, কবে থেকে স্বাভাবিক মেলামেশায় থাকবে না কোন বাঁধা! অনেকেই মনে করছেন, ওমিক্রনের হাত ধরেই শেষের শুরু হতে চলেছে করোনা মহামারী। ধনকুবের বিল গেটসও কিছুদিন আগেই এই টুইট বার্তায় একথা জানিয়েছেন। তবে এমনটা কি সত্যি সম্ভব? কি বলছেন বিজ্ঞানীরা! সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী সম্পূর্ণ অন্য কথা বললেন। তাঁদের মতে, দুঃস্বপ্নের দিন এখনও ফুরোয়নি, ভাইরাস আরও কিছু দিন তার খেল দেখাবে, এমনকী সার্স কোভিডের পরবর্তী স্ট্রেন হতে পারে আরও বেশি ভয়ংকর।
একথা শুনেই ফের একবার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে বিশ্ববাসীর। তাদের একটাই প্রশ্ন, তাহলে এই মহামারী থেকে কবে মুক্তি মিলবে? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যত বেশি মানুষের শরীরে সংক্রমণ করতে পারবে ভাইরাস, তত বেশি করে সে নতুন ও শক্তিশালী রূপ ধারণ করতে সক্ষম হতে পারে। এই কারণেই ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা, মাস খানেকের কিছু বেশি সময়ে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে যে ভাইরাস। যেহেতু বর্তমান স্ট্রেনটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা ধরে। এমনকী প্রতিষেধকের বেড়াজাল ডিঙিয়েও।
ফলে ভাইরাসটি ফের নতুন রূপ নেবে না বা শক্তি বাড়াবে না, এমনটা ভাবা ভুল। আরও আশঙ্কার কথা, বিজ্ঞানীরা বলতে পারছেন না, এরপরের ভ্যারিয়েন্ট কেমন হবে বা কতখানি মারণ ক্ষমতা থাকতে পারে তার। ফলে ভবিষ্যৎ পৃথিবী মহামারীর কী রূপ দেখবে, এমনকি পরবর্তী স্ট্রেনের ক্ষেত্রে চলতি কোভিড ভ্যাকসিন কাজে আসবে কিনা, সে সম্পর্কেও সন্দিহান বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি বিশ্বস্বাথ্য সংস্থাও জানিয়েছেন, বর্তমান টিকা করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়তে পারবে না। তার জন্য প্রয়োজন নতুন টিকা। এদিকে ইতিমধ্যেই ফ্রান্সে এক নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছেন যার নাম IHU, সঙ্গে আরও এক নতুন স্ট্রেনের কথা সামনে এসেছে। তার নাম ডেল্টাক্রন। সব মিলিয়ে ওমিক্রনেই যে করোনা অধ্যায়ের শেষ এমন কোন নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। এপ্রসঙ্গে বস্টন ইউনিভার্সিটির ইনফেকশাস ডিজিজ এপিডেমিওলজিস্ট লিওনার্দো মার্টিনেজ বলেন, “অতি দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, ফলে মিউটেশনের সম্ভাবনাও বাড়ছে। যার ফল কোভিডের আরও আরও ভ্যারিয়েন্ট।”