ইউক্রেনের মাকারিভ শহরে রাশিয়ার মর্টার হামলায় ৭ জনের মৃত্যু হল। আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে পাঁচ জন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকলেই সাধারণ নাগরিক বলে দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনে হাইপারসনিক কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। ওডেসার কাছে ইউক্রেন সেনার রেডিও কার্যালয়ও তারা ধ্বংস করে দিয়েছে বলেই জানিয়েছে রাশিয়া।
শুক্রবারই মস্কো স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রিমিয়ার রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। গোটা স্টেডিয়াম শ্রোতায় পরিপূর্ণ ছিল। রাশিয়ার পতাকা হাতে শ্রোতারা হাজির হয়েছিলেন। এই দর্শক পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামে ইউক্রেনে হামলায় রুশ সেনার ভূমিকার প্রশংসা করেন পুতিন। এসব দেখে যুদ্ধের তিন সপ্তাহ বাদে ফের যুক্তিযুক্ত শান্তি বৈঠক চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, এই যুদ্ধে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। সেখান থেকে রাশিয়ার নবপ্রজন্মকে উদ্ধার করতে গেলে এই যুক্তিযুক্ত শান্তি আলোচনাই রাস্তা বলে জেলেনস্কি জানিয়েছেন।
জল যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে কী হবে, তা সকলেরই অজানা। তবে, চিন যাতে এই অবস্থায় রাশিয়ার দিকে না-ঝোঁকে সেদিকে নজর রাখছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙকে এনিয়ে সতর্ক করে দিলেন। বাইডেন জানিয়েছেন, চিন যদি রাশিয়াকে অস্ত্র বা অন্যান্য বস্তুগত ক্ষেত্রে সাহায্য করে, তবে বেজিঙকেও রাশিয়ার মতোই কড়া নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। চিনের সঙ্গে ইউরোপ এবং আমেরিকারও ব্যাপক বাণিজ্যিক যোগাযোগ রয়েছে। চিনকে যদি কড়া আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়, তবে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। একথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আমেরিকা।
গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত। বিশ্ব রাজনীতিতে তারা রাশিয়ার পক্ষে হলেও ইউক্রেনে হামলা মেনে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। এনিয়ে বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে শান্তির পক্ষে সওয়ালও করেছেন ভারতের প্রতিনিধি। সঙ্গে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভারত জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছে। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দ্বিমত থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়েও নেওয়ার ওপরও জোর দিয়েছে নয়াদিল্লি।
Read story in English