আফগানিস্তানে তালিবানি অত্যাচার জারি৷ বৃহস্পতিবার আফগান শহর আসাদাবাদে বেশ কয়েকজন নিরীহ আফগান নাগরিককে গুলি করে মারল তালিবান জঙ্গিরা৷ বৃহস্পতিবার ছিল আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস৷ আসাদাবাদে জাতীয় পতাকা নিয়ে সমাবেশ করছিলেন স্থানীয়রা৷ সেখানে চড়াও হয় তালিবান যোদ্ধারা৷ তালিবানি যোদ্ধাদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন বেশ কয়েকজন৷ আতঙ্কে পালাতে গিযে পদপিষ্ট হযেও কযেকজনের মৃত্যু হয়েছে৷ বুধবার জালালাবাদেও তিন স্থানীয় বাসিন্দাকে গুলি করে মেরেছিল তালিবান৷
Advertisment
দু’দশক পর আফগানিস্তানে ফিরেছে তালিবান-রাজ৷ ফের তালিবানি দৌরাত্ম্যে প্রতি মুহূর্তে রক্তাক্ত হচ্ছে আফগান মুলুক৷ তালিবান মুখে শান্তির কথা বললেও মানুষ মারার পথ থেকে একচুলও নড়েনি তারা৷ প্রতিদিন আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত ঝরছে৷ একের পর এক রোমহর্ষক ভিডিও প্রকাশ্যে আসছে৷ যা দেখে শিউরে উঠছে বিশ্ব৷ নির্বিচারে আফগানদের গুলি করে মারতে দেখা যাচ্ছে তালিবান জঙ্গিদের৷ বন্দুক হাতে থাকা জঙ্গিদের সামনে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন আফগান নাগরিকরা৷ বাড়িতে ঢুকেও চলছে অত্যাচার, লুঠতরাজ৷
বুধবার জালালাবাদে দেশের জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েকজন৷ তালিবানের বিরুদ্ধে মুখ খোলার ‘শাস্তি’ও পেতে হয়েছিল তাঁদের৷ নির্বিচারে গুলিতে তিন নাগরিকের মৃত্যু হয় জালালাবাদে৷ ঠিক তার পরের দিনেই একই ছবি আসাদাবাদেও৷ স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য জড়ো হয়েছিলেন স্থানীয়রা৷ তাঁদের হাতে ছিল দেশের জাতীয় পতাকা৷ হঠাৎই সেই জমায়েতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা৷ নির্বচারে চালানো গুলিতে ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটি পড়েন বেশ কয়েকজন৷ আতঙ্কে প্রাণে বাঁচতে হুড়োহুড়ি বেঁধে যায় ওই এলাকায়৷ ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়েও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে৷
এদিকে, তালিবানিরা কাবুলের দখল নেওয়ার পরেই দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। তিনি নাকি কয়েকটি গাড়ি ভর্তি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে রয়েছেন ঘানি৷ বিপদের মধ্যে দেশবাসীকে ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ঘানিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অনেকে৷ তবে এবার একটি ভিডিও-বার্তায় তাঁর দেশছাড়া নিয়ে মুখ খুলেছেন ঘানি৷ তিনি বলেন, ‘‘রক্তপাত বন্ধ করতে এটা ছাড়া উপায় ছিল না। আমি একজোড়া পোশাক, একটি জ্যাকেট আর চপ্পল পরেই দেশ ছেড়েছি। সঙ্গে কিছুই আনিনি। টাকা নিয়ে যাওয়া বা আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করার যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা।”