Advertisment

কুর্সিতে নওয়াজের ভাই শেহবাজই, ওয়াকআউট ইমরানের দলের

পাক পঞ্জাব প্রদেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি মুখ্যমন্ত্রী শেহবাজ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sehbaz

পাকিস্তানে ক্ষমতায় ফিরল শরিফ পরিবার। পাকিস্তানের ২৩-তম প্রধানমন্ত্রী হলেন মিয়াঁ মহম্মদ শেহবাজ শরিফ। সোমবার পাকিস্তান জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ৭০ বছর বয়সি এই নেতা। প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁকে সমর্থন করেছেন নিজের দল মুসলিম লিগ নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমলের মত বেশ কয়েকটি দলের জনপ্রতিনিধি। ভোটের আগে ইমরানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের জনপ্রতিনিধিরা জাতীয় সংসদের কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন। পিটিআই প্রথমে একতরফা ভাবে শেহবাজকে ওয়াকওভার দিতে চায়নি। হারবে জেনেও প্রার্থী করেছিল শাহ মেহমুদ কুরেশিকে। কিন্তু, কুরেশিই দলের জনপ্রতিনিধিদের ভোট বয়কটের কথা জানান।

Advertisment

আর, তার ফলেই পাক পঞ্জাব প্রদেশের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী শেহবাজের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে কোনও বাধা হয়নি। পাক পঞ্জাব প্রদেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি মুখ্যমন্ত্রী শেহবাজ, দাদা নওয়াজ শরিফ দেশছাড়া হওয়ার পরই পাকিস্তান-মুসলিম-লিগ-নওয়াজ দলের ভার হাতে তুলে নেন। ভাইঝি মরিয়ম শরিফকে নিয়ে তিনি দল সামলাচ্ছেন। ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট শেহবাজ পাকিস্তান জাতীয় সংসদের সদস্য হন। বিরোধী দলনেতা পদে বসেন।

১০ এপ্রিল গভীর রাতে ভোটাভুটিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান খান। সেই সময়ও পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের সদস্যরা জাতীয় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন। ৩৪২ আসনের পাকিস্তান জাতীয় সংসদে ১৭৪টি ভোট পড়েছিল ইমরানের বিরুদ্ধে। পাকিস্তান জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১৭২ জন জনপ্রতিনিধির সমর্থন দরকার। সবচেয়ে বড় ইমরানের পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ। খাতায়-কলমে তাদের সদস্যসংখ্যা ১৫৫ জন। কিন্তু, তাঁদের অনেকে ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবিরে নাম লিখিয়েছে।

যদিও নিজেদের সংঘবদ্ধ দেখাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ। ইমরানকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে ইসলামাবাদ থেকে লাহোর, সর্বত্র বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তেহরিকের নেতা-কর্মীরা। বিনিজেদের সংঘবদ্ধ দেখাতে ক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। ইমরান অভিযোগ করেছিলেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে আমেরিকা। বিক্ষোভকারীদের মুখে তাই শোনা গিয়েছে আমেরিকার বিরুদ্ধে স্লোগান। আগামী বছর পাকিস্তানে নির্বাচন। সেকথা মাথায় রেখে সোমবার পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন শেহবাজও। জানিয়েছেন, যদি কোনও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তিনি পদত্যাগ করবেন।

Read story in English

PM
Advertisment