কুর্সিতে বসেই পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মুখে উঠে এলো ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কথা, কাশ্মীর ইস্যু। রবিবার ইমরান খানের বিদায় হয়েছে। আর সোমবারই, পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরিফের ভাই মিয়াঁ মহম্মদ শেহবাজ শরিফ।
এ দিন পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে শেহবাজ শরিফ বলেছেন যে, 'আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই, কিন্তু কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান ছাড়া দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি সম্ভব নয়।' ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শেহবাজের আর্জি, 'আমি মোদীকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে দু’দেশেই দারিদ্র আছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে আমার আবেদন যে, জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুন। দারিদ্র দূরীকরণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব।'
১৯৪৭ সালের পর থেকে কাশ্মীর বিরোধকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানীতে। ইমরান খান কাশ্মীর ইস্যুকে হাতিয়ার করে দেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হতে মরিয়া ছিলেন। রাষ্ট্রসংঘ সহ নানা আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর বিরোধকে তুলে ধরে দিল্লির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল ইসলামাবাদকে। কিন্তু, লাভ হয়নি। আগাগোড়াই ভারত জানিয়েছে যে, কাশ্মীর সমস্যা ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তাই এর সমাধান দ্বিপাক্ষিকস্তরেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। ইমরান পারেননি। এবার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান খুঁজতে ইমরানের ঢঙেই কথা বললেন শাহবাজও। তাঁর সাফ কথা যে, ' পাকিস্তান প্রতিটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করবে।'
পাকিস্তানে তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকারের পতনে 'বিদেশি ষড়যন্ত্র' রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ইমরান। উল্লেখ করেছিলেন এক চিঠির। এ দিন শেহবাজ শরিফ সেই প্রসঙ্গে বলেছেন যে, 'তথাকথিত বিদেশি ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত বিতর্কিত চিঠি সম্পর্কে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিকে অবহিত করা হবে। ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হলে পদত্যাগ করে বাড়ি চলে যাব।'
Read in English