দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার লক্ষণই নেই। লাগাতার গণবিক্ষোভ সামলাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। যা লঙ্ঘনের দায়ে পুলিশকে অন্তত ৬০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করতে হয়েছে। তবে, আশার আলো বলতে একটাই, বিক্ষোভ ছড়ানো রুখতে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই দ্বীপরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মিলছে না। কারণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার ক্ষমতা ছিল না শ্রীলঙ্কা সরকারের। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কাবাসীর যাবতীয় ক্ষোভ আছড়ে পড়ে প্রশাসনের ওপর। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ শুরু করেন দ্বীপরাষ্ট্রবাসী।
"রিয়েল-টাইম নেটওয়ার্ক ডেটা অনুসারে দেখা গিয়েছে যে শ্রীলঙ্কা দেশব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নেটব্লকস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "ব্যাপক প্রতিবাদের মধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রাম সহ প্ল্যাটফর্মগুলিতে অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করেছে," কলম্বোয় প্রশাসনের এক সিনিয়ার আধিকারিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে বলা হয়েছে টেলি যোগাযোগ এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম দেশ জুড়েই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জয়ন্ত ডি সিলভা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, 'এই বিধিনিষেধ সাময়িক। দেশ ও জনগণের স্বার্থে শান্তি বজায় রাখার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে'।
আরো পড়ুন: ওমিক্রনের থেকেও ১০ গুণ সংক্রামক করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান, আতঙ্কে বিশ্ব
এর মধ্যেই বিমান সংস্থাগুলো শ্রীলঙ্কায় বিমান ওঠানামার সংখ্যা কমিয়েছে। সেই তালিকায় শামিল হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়াও। বিমান সংস্থাগুলোর বক্তব্য, চাহিদা কম। বর্তমানে গোটা শ্রীলঙ্কা আর্থিক সংকটে ভুগছে। এই পরিস্থিতিতে বিমানে চাপার বিলাসিতা দেখাতে চাইছেন না শ্রীলঙ্কার বেশিরভাগ মানুষই। তাই কমানো হয়েছে বিমান ওঠানামার সংখ্যা।
Read full story in English