/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/Shooting.jpg)
বেসরকারি হাসপাতালে গুলি চালনার ঘটনায় রীতিমত হুলস্থূল পড়ে যায়।
পানশালায় এলোপাথাড়ি গুলি বন্দুকবাজের। মুহূর্তে আনন্দ বদলে গেল বিষাদে। নৃশংস ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হল, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। বন্ধুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত পানশালা।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের একটি পানশালায় একটি মিনিবাসে করে কয়েকজন আসে আর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে শনিবার গভীর রাতে। পুলিশ রবিবারে সকালে যায় ঘটনাস্থলে, সেখানে গিয়ে তারা দেখে, রক্তে ভেসে গিয়েছে পানশালা। সেই রক্তের মধ্যে পড়ে রয়েছে একের পর এক লাশ। সেগুলি সরিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
গণহত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাওটেং প্রদেশের পুলিশ কমিশনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এলিয়াস মাওয়েলা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধার খালি কার্তুজ থেকে অনুমান, বন্দুকবাজের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। উগ্রপন্থীদেরও কাজ হতে পারে।
আরও পড়ুন পেটে ভাত নেই লঙ্কাবাসীর, আর প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে কোটি কোটি টাকা, ভিডিও ভাইরাল
মাওয়েলা জানিয়েছেন, পুলিশ জানতে পেরেছে, শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত পানশালাটি খোলা ছিল। অনেকে সেখানে এসেছিলেন আনন্দ-ফূর্তি করতে। পানশালাটি অনুমোদন প্রাপ্ত। তদন্তে উঠে এসেছে, বেশ কয়েকজন এসে গুলি চালায় তাঁদের উপর। গুলির শব্দে পেয়ে অনেকে পালাতে শুরু করেন। কিন্তু কী কারণে আততায়ীরা গুলি করল তা স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিশ কর্তার দাবি, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছে খুনের ঘটনায়। এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। পানশালা থেকে কেউ প্রাণে বেঁচে বেরোতে পারেননি। ভিতরেই রক্তনদীতে ভেসে যান নিহতরা।