দেশজুড়ে ক্ষোভ চরমে পৌঁছতেই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষ। মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেন। জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ায় দ্বীপরাষ্ট্রে অশান্তি এড়াতে নিরাপত্তা বাহিনীকে দেওয়া সর্বোচ্চ ক্ষমতা আপাতত থাকল না।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর বিক্ষোভ-অশান্তির জেরে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন গোটাবায়া। তার আগে হাজার হাজার মানুষ তাঁর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী এবং জনতার সংঘর্ষে। কিন্তু জরুরি অবস্থা তুলে নিলেও তাঁর পদত্যাগের দাবি থেকে সরছেন না আম জনতা। শ্রীলঙ্কায় আর্থিক দৈন্যদশার জন্য তাঁকেই দায়ী করছে সব মহল।
তবে এই জরুরি অবস্থা তুলে দেওয়ার নেপথ্যে জনতার বিদ্রোহ ছাড়াও আরও একটা কারণ রয়েছে। ২২৫ আসন বিশিষ্ট শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে সরকার পক্ষ। শাসক জোট থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বেরিয়ে গিয়েছেন ৪০ জন সাংসদ। জরুরি অবস্থা জারি করলে তার ২ সপ্তাহ পর পার্লামেন্টে তার অনুমতির বিষয়টি উত্থাপন করতে হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় সেই অনুমতি মিলবে না জেনেই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন লঙ্কাকাণ্ডে নয়া মোড়, অস্বস্তি বাড়ল রাজাপক্ষের, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল শাসক জোট
এদিকে, দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার জেরে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে টাকার অভাবে দূতাবাস বন্ধ করে দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা সরকার। নরওয়ের অসলো, ইরাকের বাগদাদ এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাই কমিশন বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রা ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে এই দূতাবাসগুলি চালানো আর সম্ভব হচ্ছে না সরকারের পক্ষে। তাই বাধ্য হয়ে এগুলি বন্ধ করা হচ্ছে।