শ্রীলঙ্কায় ঘোর সঙ্কটের মধ্যেই গত সোমবার ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তার পরই দ্বীপরাষ্ট্রে হিংসা-গন্ডগোল চরম আকার ধারণ করেছে। উন্মত্ত জনতা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় প্রাণভয়ে নৌসেনা ঘাঁটিতে সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন মাহিন্দারা। এবার বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘে ফের শপথ নিলেন প্রধানমন্ত্রী পদে। যা ঘিরে ফের আশার আলো দেখছে লঙ্কাবাসী।
২২৫ সদস্যের শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে মাত্র একটি আসন রয়েছে ইউএনপি নেতা রনিলের। কিন্তু এবার তাঁর উপরেই দেশের ভার দিলেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষে। এদিন রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় দুজনের। তার পরই রনিলের নাম নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা হয়।
এদিকে, শ্রীলঙ্কা রাজাপক্ষে পরিবার থেকে পুরোপুরি মুক্তি চাইছে। এমনকী দ্বীপরাষ্ট্রের পার্লামেন্টও এবার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে। আগামী ১৭ মে পার্লামেন্টে সব পক্ষ এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবে। এদিন অধ্যক্ষের দফতর থেকে অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।
দ্বীপরাষ্ট্রে সঙ্কটের মধ্যে দুই ভাই গোটাবায়া এবং মাহিন্দার উপর ক্ষুব্ধ দেশবাসী। দেশকে দেউলিয়া পরিস্থিতি থেকে বের করতে এদিন রনিলের উপর আস্থা রেখেছেন গোটাবায়া। কিন্তু তাঁর জন্যেও পরিস্থিতি জটিল হতে চলেছে সেটা তিনিও হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। ৭৩ বছরের রনিল আগেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। রাজাপক্ষে জমানা শুরু হয় তাঁর পরাজয়ের পরই। কিন্তু দেশকে আর্থিক সঙ্কট থেকে বের করতে ফের তাঁর উপরই ভরসা রেখেছে সরকার।
অন্যদিকে, আর্থিক সঙ্কটের মাঝেই রাজাপক্ষদের পরিবার ঘিরে অসন্তোষ বাড়ছে লঙ্কাবাসীর। শ্রীলঙ্কার নানা অঞ্চলে সংঘর্ষ জারি রয়েছে। কঠোর বিধি কার্যকর করেছে সরকার। এইসবের মধ্যেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের পায়ে বেড়ি পরাল আদালত। মাহিন্দা, তাঁর ছেলে সাংসদ নামাল রাজাপক্ষে-সহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেদেশের একটি আদালত।