দেশজুড়ে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছেই। তার মধ্যেই চলতি মাসের ১৭ তারিখ ভাই মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রী পদে রেখেই ১৭ সদস্যবিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেছিলেন গোটাবায়া। যা নিয়ে প্রবল আলোড়ন তৈরি হয়। অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব খারিজ করেছিল বিরোধী শিবির। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অনড় সিদ্ধান্ত থেকে সরলেন দ্বীপরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট গোয়াবায়া রাজপক্ষে। অর্থনৈতিক সকটের দরুন সৃষ্য সেদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা দূরীকরণে বড় ভই মহিন্দা রাজাপকষকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে সম্মত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট সদস্য মৈত্রিপালা সিরিসেনা শুক্রবার এই দাবি করেছেন।
পার্লামেন্টের সব দলের সমন্বয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম নির্ধারণে একটি জাতীয় কাউন্সিল নিয়োগ করা হবে বলেও মেনে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষ।
মৈত্রিপালা সিরিসেনা গোটাবায়ার আগে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়া, অর্থনৈতিক সংকটের জেরে ৪০ জন বিধায়কের সঙ্গে দলত্যাগের আগে তিনি শাসক দলের একজন আইনপ্রণেতা ছিলেন।
প্রায় দেউলিয়া শ্রীলঙ্কা। বিদেশী ঋণের অর্থ প্রদানও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের এই প্রতিবেশীকে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশী ঋণ পরিশোধ করতে হবে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে ২৫ বিলিয়ান মার্কিন ডলার দিতে হবে। দেশটির বৈদেশিক আর্থিক রিজার্ভ ১ বিলিয়ান মার্কিন ডলারেরও কম।
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত আমদানি। যা মানুষকে খাদ্য, জ্বালানি, রান্নার গ্যাস এবং ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে বাধ্য করছে।
রাজাপক্ষ পরিবার গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে শ্রীলঙ্কার কুর্সিতে রয়েছে। সেদেশের সর্বক্ষেত্রে এই পরিবারের আদিপপত্য রয়েছে। আর্থিক সঙ্কটের পর প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার ইস্তফার দাবিতে বারে বারে কলম্বো সহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা শ্রীলঙ্কার এই ভয়ঙ্কর অবস্থার জন্য রাজপক্ষ পরিবারকে দায়ী করেছে।
Read in English