প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তারপরও বিপদ কাটেনি। বন্দরশহরের সেনা ঘাঁটিতে গিয়ে আশ্রয় নিলেও সেখানেই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। আর্থিক সঙ্কটের মাঝেই রাজাপক্ষদের পরিবার ঘিরে অসন্তোষ বাড়ছে লঙ্কাবাসীর। শ্রীলঙ্কার নানা অঞ্চলে সংঘর্ষ জারি রয়েছে। কঠোর বিধি কার্যক করেছে সরকার। এইসবের মধ্যেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষের পায়ে বেড়ি পরালো আদালত। মহিন্দা, তাঁর ছেলে সাংসদ নামাল রাজাপক্ষে সহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেদেশের একটি আদালত।
মহিন্দা রাজাপক্ষে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই সংঘর্ষ ছাড়ায় শ্রীলঙ্কায়। সরকার বিরোধী গোটাগোগামা ও মায়নাগোগামায় অহিংস বিক্ষোভকারীদের উপর একতরফা আক্রমণের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন, আহত ৩০০-র বেশি মানুষ। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর পুত্র সহ সেদেশের শাসক শিবিরের একাধিক নেতা। সেই তদন্ত চলাকালীন মহিন্দা যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন তার জন্যই ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের তরফে মহিন্দা রাজাপক্ষ সহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলিকে সেকথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
হেভিওয়েট রাজাপক্ষ ও শাসক শিবির লঙ্কা পদুজানা পেরামুনার ১৩ জন সাংসদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে কোর্টের কাছে আবেদন করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্তকারী বিভাগ।
শ্রীলঙ্কার ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (এসডিআইজি) দেশাবন্ধু টেন্নাকুনও হিংসায় জড়িত ও মদতদাতাদের তালিকায় রয়েছেন। তাঁরও বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।
প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের বাসভবনের বিপরীতে এবং রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষের সচিবালয়ের কাছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণের অভিযোগ ওঠে। আক্রমণকারীরা মাহিন্দা রাজাপক্ষের লোক ছিল বলে খবর। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ না করার কৌশল, পরে নিজের শক্তিপ্রদর্শনের স্বরূপ হিসাবে মহিন্দা ওই আক্রমণে মদত দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
Read in English