দেশের অবস্থা সংকটজনক। গত কয়েকদিন ধরেই প্রেসিডেন্টের ইস্তফার দাবিতে জনরোষ তুঙ্গে। বেঁকে বসেছেন শাসক শিবিরের জোটসঙ্গীরাও। সমাধান সূত্র হিসাবে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজপক্ষে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও মন্ত্রিসভায় যোগদানের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাও নাকচ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ক্ষমতায় থাকতে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে রাজাপক্ষকে। দেশদুড়ে জরুরী অবস্থার মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া দাদা বাঁধছে। তার মধ্যেই অস্বস্তি বাড়ল প্রেসিডেন্টের। রাজপক্ষ পরিবারের উপর অসন্তোষ দেখিয়ে সমর্থন প্রত্যাহারের পথে হেঁটেছেন শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির অন্তত ৪১ জনপ্রতিনিধি। ফলে সংসদে কার্যত সংখ্যালঘু রাজাপক্ষে সরকার।
তবে, কুর্সি ছাড়তে নারাজ প্রেসিডেন্ট। এ দি সংসদ শুরুর আগেই সেই বার্তাই দিয়েছেন গোটাবায়া। সরকার বাঁচাতে মরিয়া তিনি। সন্ধান চালাচ্ছেন বিকল্পের। আর্থিক সংকটের দায় জোট সঙ্গীরা নিতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে পদ বাঁচাতে প্রেসিডেন্টের নজরে নির্দলদের সমর্থন। বর্তমান অবস্থায় সরকারকে নির্দলরা সমর্থন করলেই একমাত্র গোটাবায়ার কুর্সি বাঁচতে পারে।
অর্থমন্ত্রী হিসাবে বাসিল রাজাপক্ষের জায়গায় সোমবারই বসানো হয়েছিল আলি সাবরিকে। পদ গ্রহণের ২৪ ঘন্টা না কাটতেই মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেলেন আলি। ইস্তফার কারণ হিসাবে তাঁর যুক্তি, অভূতপূর্ব এই সংকট কাটাতে আশা করব প্রেসিডেন্ট উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ নেবেন। ৩রা এপ্রিল বিচারমন্ত্রক থেকে তাঁর ইস্তফা নতুন পদ গ্রহণের জন্য ছিল না বলে দাবি করেছেন পদত্যাগী মন্ত্রী।
মানুষের সহ্যের সীমা অতিক্রান্ত। সোমবার কার্ফু ভেদ করেই প্রায় হাজার দু'য়ের মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে টাঙ্গালেতে প্রধানমন্ত্রী মহিন্দ্রা রাজাপক্ষের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছিলেন। প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করেতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে।
পদত্যাগের দাবিতে টাঙ্গালেতে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের বাসভবনে পৌঁছেছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভেদ করে, নিরাপত্তা বাহিনীকে ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করার অনুরোধ জানায়। কলম্বোর ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কোয়ার সহ দেশের নানা প্রান্তে সংকটের জন্য রাজাপক্ষে পরিবারকে দায়ী করে আন্দোলন জারি রয়েছে। সরকারের অন্তত ছয়'জন জনপ্রতিনিধির বাসভবনের বাইরেও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে।
Read in English