সন্ত্রাসের আতঙ্ক আমেরিকায়। নিউ ইয়র্কে হামলা চালাল সশস্ত্র বন্দুকবাজ। হামলায় আহত হয়েছেন ১৩ জন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ হামলা চালানো হয়। বন্দুকবাজের পরনে ছিল নির্মাণ কর্মীদের পোশাক। মুখে ছিল গ্যাস মাস্ক। ব্রুকলিন এলাকায় সাবওয়ে স্টেশনে এই হামলা হয়েছে। এলোপাথাড়ি গুলিতে একের পর এক ব্যক্তি রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চলছে পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু না-ফাটা বিস্ফোরক। যা বিস্ফোরণ ঘটলে একটা বিধ্বংসী হামলা হত। এই হামলা রীতিমতো পরিকল্পনা করে চালানো হয়েছে। এটা লোন উলফ অ্যাটাক বা নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির পরিকল্পনা কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশককর্মীরা। আরও বিস্ফোরক রয়েছে কি না, তদন্ত চালিয়ে দেখছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। তাঁরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে আসার পর দেখা যায় ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে ৩৬ স্ট্রিট স্টেশন। স্মোক বম্ব ছুড়ে হামলাকারী পালিয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
ওই স্টেশনের সংলগ্ন একাধিক রাস্তায় যানচলাচল এবং পথচারীদের যাতায়াত আটকে দিয়েছে পুলিশ। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নিউ ইয়র্কে এভাবে স্টেশনে ঢুকে হামলা প্রথম। ওই ব্যক্তি অন্যান্য জায়গায় হামলা চালাতে পারে। সেই সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। এর আগে ৯/১১-র জঙ্গি হামলা আমেরিকায় আর হয়নি। সেকথা মাথায় রেখে আরও হামলার আগেই অভিযুক্তকে তাঁরা ধরে ফেলতে চান বলেই নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- গোলাগুলি নয় এবার গলাগলি, শরিফ শেহবাজও চান ভারত-পাকিস্তান বন্ধুত্ব
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে তাঁদের শরীর থেকে গুলি বের করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, নিউ ইয়র্কের মেয়র ইরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, গোটা শহরজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজগুলোর ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। ঘটনার সময় নিউ ইয়র্কের ওই স্টেশনে বহু লোকজন ছিল। প্রতিদিনই এই সময়টায় স্টেশনে ভিড় বেশি থাকে। হামলাকারী সেটা জানত বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
Read story in English