New Update
আফগানিস্তানের সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে পাকিস্তানকে সঙ্গে নিতেই হবে, এমনই মনে করেন মার্কিন সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। তাঁর মতে, “এটা আমাদের মনে রাখতেই হবে যে পাকিস্তান হল একটি পারমাণবিক শক্তিধর শক্তিধর দেশ। তালিবানের মধ্যেও একটি অংশ রয়েছে যারা পাকিস্তান সরকার ও সামরিক বাহিনীকেই সরিয়ে দিতে চায়। সেই কারণেই আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে স্থায়ী কোনও সমাধান খুঁজতে গেলে পাকিস্তানকে সেই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।” তালিবান গ্রাসে গোটা আফগানিস্তান। প্রতিদিন আফগান মুলুকে নীরিহ নাগরিকের রক্ত ঝরছে। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিযে উদ্বেগে গোটা বিশ্ব। টিটিপি বা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী পাকিস্তান জুড়ে বেশ কয়েকটি বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে এই জঙ্গি গোষ্ঠী আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর বিশেষ করে কাবুলে তালিবানি-রাজ কায়েম হওয়ায় শক্তি আরও বেড়েছে টিটিপি-র। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন টিটিপি জঙ্গি নেতাকে জেল থেকে ছড়ে দিয়েছে তালিবান।
Advertisment
মার্কিন সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন,“মার্কিন নাগরিক, আমাদের বন্ধু ও অন্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যেতে পাকিস্তান সরকারের ভূমিকা প্রশংসনীয়।” এদিকে মার্কিন কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজ এবং সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেই বিবৃতিতে আফগানিস্তানের পঞ্জশিরে তালিবান-বিরাধী শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। এব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। আরও পড়ুন- মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, আজও রাজ্যজুড়ে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আফগানিস্তান ইস্যুতে যৌথ বিবৃতিতে গ্রাহাম ও ওয়াল্টজ আরও বলেন, “আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ এবং আহমেদ মাসুদের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলার পর আমরা বাইডেন প্রশাসনকে অনুরোধ করছি যে এই নেতাদের আফগানিস্তানের বৈধ সরকারী প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দিন। আফগানিস্তানে তালিবানের দখলদারী অবৈধ, আফগান সংবিধান এখনও অক্ষত রয়েছে।” অন্যদিকে, কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে বিস্ফোরণের জবাব দিয়েছে আমেরিকা। ইসলামিক স্টেটের গোপন ডেরায় ড্রোন হামলা চালায় মার্কিন সেনাবাহিনী। পূর্ব আফগানিস্তানের নঙ্গাহার প্রদেশে অবস্থিত আইএস- জঙ্গি গোষ্ঠীর ডেরায় নাগাড়ে ড্রোন অভিযান হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। কাবুল হামলার নেপথ্যে থাকা মূল ষড়যন্ত্রীকে নিকেষ করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি পেন্টাগনের।সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তানের নঙ্গাহারে আইএস-এর বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার কথা স্বীকার করেছেন। Read full story in English ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন