একটানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ‘যুদ্ধ’ শেষের ঘোষণা তালিবানের৷ রবিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নিয়েছিল তালিবানরা। সেনাকে নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চালিয়েও তালিবানিদের মোকাবিলা না করতে পেরে পদত্যাগ করেন আফগান প্রেসিডেন্ট আসরফ ঘানি। এমনকী তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আফগান কূনীতিকরাও দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে এবার যুদ্ধ শেষের ঘোষণা তালিবানের৷
গোটা আফগানিস্তান তালিবানের দখলে৷ আমেরিকান সেনা আফগান মুলুক ছেড়ে চলে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশের দখল নিয়েছে তালিবান৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গোটা দেশে একপ্রকার তাণ্ডব চালিয়েছে তালিবানিরা৷ কট্টরপন্থীদের বাগে আনতে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চালিয়েছে আফগান সেনা৷ তবে ফল মেলেনি৷ তালিবানিদের মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ আফগান সেনা৷ বহু সেনা প্রাণ বাঁচাতে ইতিমধ্যেই আফগানিস্তান ছেড়ে পড়শি দেশে আশ্রয়ের খোঁজে গিয়েছেন৷
এক কথায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে কাবুলের একের পর এক জায়গায় রবিবার রাতেও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তালিনবান। গোটা কাবুলের সব ধরণের সুরক্ষা ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস থেকেই ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্থান সরকার গড়ার ঘোষণা করতে পারে তালিবানিরা।
আরও পড়ুন- বাংলার পাশাপাশি আজ একাধিক রাজ্যে ‘খেলা হবে’ দিবস পালন তৃণমূলের
এদিকে, আফগানিস্তান থেকে ভারত তার কর্মরত আধিকারিক এবং নাগরিকদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ ইতিমধ্যেই কাবুল থেকে দেশে ফেরানো হয়েছে শতাধিক ভারতীয়কে৷ ভারতীয় বিমান বাহিনীর সি-১৭ গ্লোবমাস্টার সামরিক বিমানটিকে কাবুল বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে৷ ওই বিমানেই আফগানিস্তান থেকে বাকি ভারতীয়দেরও দেশে ফেরাবে দিল্লি৷ কার্যত বিনা লড়াইয়েই রবিবার কাবুলের দখল নেয় তালিবান৷ আফগানিস্তানে শরিয়ত শাসন কায়েম করতে চায় তালিবানিরা৷
এদিকে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, পশ্চিমী কূটনীতিকদের কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের সব কর্মীই হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চত্বরের থাকেন৷ সেই অঞ্চল ঘিরে রেখেছে মার্কিন সেনা৷ অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, কাতার এবং আমেরিকা-সহ ৬০ টিরও বেশি দেশ একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছে৷ ওই দেশগুলি জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে যে নাগরিক ও বিদেশি ছেড়ে চলে আসতে চান প্রত্যেককেই সেই সুযোগ দেওয়া হবে৷ তাঁদের নিরাপদে অন্যত্র যেতে বিমানবন্দর এবং অন্য দেশের সীমান্ত এলাকাগুলি খোলা রাখা হবে৷ আমেরিকা জানিয়েছে, তাদের নাগরিকদের এবং আফগানিস্তান থেকে তাদের অনুগামীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যেতে কাবুল বিমানবন্দরে প্রায় ৬ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে৷
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন