Afganisthan: আফগানিস্থানের অব্যাহত তালিবানি আগ্রাসন। শুক্রবার হেলমন্দ প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর লস্কর গাহ কব্জা করে নিয়েছে তালিবান বাহিনী। এই আগ্রাসনে রাজধানী কাবুল থেকে আর ৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছেন তারা। এতেই উদ্বেগ বেড়েছে পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলোর। মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে সে দেশে ফের সেনা মোতায়েন শুরু করল ইউএস। নাগরিকদের দেশে প্রত্যর্পণ সুরক্ষিত করতেই মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত। শুধু ইউএস নয়, নাগরিক সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত ব্রিটেনও সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অপারেশন ‘এন্ডিওরিং ফ্রিডম’-এ ইতি টেনে সে দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন। কিন্তু তালিবানি তান্ডবে খানিকটা রক্তচাপ বেড়েছে পেন্টাগনের। তাই নতুন করে সাময়িক সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত সে দেশের অর্ধেক অংশ দখল করে নিয়েছে। ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানী চলে এসেছে তালিবানের কব্জায়। সেই তালিকায় নাম রয়েছে হেরাট এবং কান্দাহারের। একসময় কান্দাহার ছিল এই গোষ্ঠীর শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু গত দু’দশকে সেই দেশে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছিল ইউএস এবং তার মিত্র রাষ্ট্রগুলো। যোগ দিয়েছিল ন্যাটো বাহিনীও। সেই জোড়া চাপে ক্রমশ পিছু হটতে শুরু করে তার। কিন্তু আমেরিকার বাইডেন সরকার নতুন করে সেনা প্রত্যাহার শুরু করলে ফের শক্তি বাড়িয়ে এগোতে থাকে তালিবানরা।
এদিকে, তালিবান তাণ্ডব বাড়তেই ঘরবাড়ি ছাড়তে শুরু করছেন স্থানীয়রা। সেই পুরনো তালিবানি শাসনের স্মৃতি ভুলতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে, আফগান সেনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সে দেশের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি। আমারুল্লা সালেহ এদিন ট্যুইট করে জানান, দেশের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতায় আমি গর্বিত। জাতীয় নিরাপত্তা যেভাবেই হোক রক্ষা করা হবে। তালিবানীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় এবং আগ্রাসন বিরোধী অভিযান চলবে।
অপরদিকে, সে দেশে যত রাজধানী কাবুলের দিকে এগোচ্ছে তালিবান, তত বিদেশী শক্তিগুলো তাদের রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় বন্ধ করছে। এদিন ডেনমার্ক তালা ঝুলিয়েছে তাদের অফিসে। ন্যাটোর মুখপাত্র আবার বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন