কাটা যাবে না দাড়ি। শরিয়া বা ইসলামিক রীতিতে দাড়ি কাটা নিষিদ্ধ। তাই সোমবার দক্ষিণ আফগানিস্তানের সমস্ত সেলুনে ফতোয়া জারি করল তালিবান। তালিবান সরকারের ফতোয়ায় সেলুন ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড়।
হেলমন্দ প্রদেশে স্থানীয় তালিবান প্রশাসনের ইসলামিক রীতি-আচার দফতর ফতোয়া জারি করেছে। তাতে লস্কর গাহ এলাকায় সমস্ত নাপিতদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কোনও পুরুষের দাড়ি কাটা যাবে না। কারও গাল দাড়ি ছাড়া দেখলেই কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবান।
এই ফতোয়া জারি হওয়ার পর আতঙ্কে ভুগছেন লস্কর গাহ শহরের বাসিন্দারা। বিলাল আহমেদ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন, দাড়ি না কাটার ফতোয়া শুনে খুবই দুঃখ পেয়েছি। এই শহরে সমস্ত মানুষ সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে চান। কিন্তু তালিবানি ফতোয়ায় এখন জীবন শেষ হওয়ার মুখে।
এর আগে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় এসে তালিবান এরকম ভাবেই ইসলামিক রীতি-নীতি অনুসরণ করার জন্য কঠোর পন্থা অবলম্বন করে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে সেই পথেই হাঁটছে তালিবান। মুখে অন্য কথা বললেও, গতবারের থেকেও চরম কঠোর তালিবান। শনিবারই তার ঝলক দেখা গিয়েছে, যখন তালিবান যোদ্ধারা চার অপহরণকারীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে হেরাতে জনসমক্ষে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন আফগানিস্তানে উলটপুরাণ? তালিবান যোদ্ধাদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি
নাপিতদের উদ্দেশে ফতোয়া জারি করে বলা হয়েছে, যদি কেউ আইন ভাঙে তাহলে তাঁকে কঠোর সাজা দেওয়া হবে। কেউ আপত্তি জানাতে পারবে না। এর আগের তালিবান সরকারে মৌলবাদীরা নির্দেশ দেয়, পুরুষদের দাড়ি রাখতেই হবে। কিন্তু ২০০১ সালে মার্কিন সেনা আফগানিস্তান দখল করতেই দাড়ি কাটা, ক্লিন শেভ জনপ্রিয় ফ্যাশন হয়ে যায় দেশের পুরুষদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন