৩১ অগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা শেষের মুখে। স্বভাবতই স্লথ হয়েছে উদ্ধারকাজ। এই অবস্থায় শনিবার তালিবান অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করল কাবুল এয়ারোপোর্টে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে কাবুল এয়ারপোর্ট বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ শুরু করে দিয়েছে তালিবান। এদিকে, বৃহস্পতিবারের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হামলায় প্রায় ২০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
সংবাদসংস্থা এপি সূত্রে খবর, বিমানবন্দর আসার রাস্তায় কিছুটা ব্যবধানে চেক পয়েন্ট বসিয়েছে তালিবান। রাতের দিকে ভিড় রুখতে সশস্ত্র তালিবান যোদ্ধারা মোতায়েন রয়েছেন চেক পয়েন্টগুলিতে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হামভি এবং নাইট-ভিশন চশমা পরে পাহারা দিচ্ছে তালিবান। এখনও বহু মানুষ এয়ারপোর্টের উদ্দেশে আসছেন। কাবুল এয়ারপোর্টে ভিড় কমেনি এখনও।
এদিকে, কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের প্রত্যাঘাত করল আমেরিকা। এবার ইসলামিক স্টেটের গোপন ডেরায় ড্রোন হানা চালাল মার্কিন বাহিনী। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে, পূর্ব আফগানিস্তানের নঙ্গাহার প্রদেশে অবস্থিত আইএস-কে জঙ্গি গোষ্ঠীর ডেরায় নাগাড়ে ড্রোন হানা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। এই প্রত্যাঘাতে কাবুল হামলার নেপথ্যে থাকা মূল ষড়যন্ত্রীকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি পেন্টাগনের।
আরও পড়ুন আফগানিস্তানের স্থায়ী সমাধানে পাকিস্তানকে সঙ্গে রাখতে হবে, মত মার্কিন সেনেটরের
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তানের নঙ্গাহারে আইএসআইএস-য়ের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার কথা স্বীকার করেছেন। মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কম্যান্ডের মুখপাত্র বিল আর্বান এক বিবৃতি জানিয়েছেন, “মার্কিন সামরিক বাহিনী আজ আইএসআইএস পরিকল্পনাকারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন অভিযান পরিচালনা করেছে। পাক সীমান্তের কাছে আফগানিস্তানের নঙ্গাহার প্রদেশে এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছে। প্রাথমিক ইঙ্গিত, মার্কিন সেনা বিমানবন্দরের বিস্ফোরণের মূল টার্গেটকে খতম করেছে। এই অভিযানে অসামরিক কোনও ব্যক্তির হতাহতের খবর নেই।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন