Afghanisthan Crisis: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ঘোষিত হল আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। মঙ্গলবার রাতের দিকে প্রথম দফার মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন সংগঠনের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দ। তাঁর ডেপুটি হিসেবে কাজ করবে আবদুল গনি বরাদর।
আফগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার সামলাবে আমির খান মুত্তাকি আর তাঁর ডেপুটি আব্বাস স্তানিকজাই। সরাজউদ্দিন হাক্কানি সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী। ঘটনাচক্রে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা ছেলে সরাজউদ্দিন হাক্কানি। আর সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে কাজ সামলাবে মোল্লা ইয়াকুব। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এই নাম ঘোষণা করেছে তালিবান।
৩১ অগাস্টের পর আফগানিস্তানে আটকে থাকা মার্কিন এবং এযাবৎকাল মার্কিন সেনাদের নানাভাবে সহযোগিতা করা আফগানদের উদ্ধারে কাতারের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার গঠন হলে আমেরিকার মিত্র রাষ্ট্র হিসেবে কাতারের ভূমিকা কী হবে, সেই বিষয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়।
এদিকে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিছিল চলছিল কাবুলে। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে মহিলা সহ কয়েকশ আফগান প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেয়। এএফপি প্রতিবেদন অনুসারে, ওই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চলেছে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় তালিবান।
মিছিলের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইসলামাবাদের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সেদেশের নাগরিকরা। বিশেষত মহিলারা প্ল্যাকার্ড হাতে, স্লোগান দিয়ে পথে নেমেছেন। মহিলাদের গলায় শোনা যায়, পাকিস্তান পাকিস্তান, ছাড় আফগানিস্তান।” বিরাট এই প্রতিবাদ মিছিল কাবুলের পাকিস্তান দূতাবাসের দিকে চলেছে।
তালিবান মানেই হিংসা। ভ্রুলুন্ঠিত নাগরিক অধিকার। বিলুপ্ত নারী স্বাধীনতা ও অধিকার। ২০ বছর আগের স্মৃতি মনে করেই শিউরে ওঠা অবস্থা। কিন্তু গত ২০ বছরের পরিস্থিতির বদল ঘটেছিল। ক্রমশ পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব কাজে এগিয়ে এসেছিল মহিলারা। কিন্তু, তালিবান ফের আফগানিস্তানের দখল নিতেই প্রশ্নের মুখে পড়ে নারী অধিকার ও নিরাপত্তার বিষয়টি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন