'পরের বার আর লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে না', মালালাকে হুমকি তালিবান জঙ্গির

'আমাদের মধ্যে পুরোনো হিসাব এখনও বাকি আছে। সেগুলো মিটমাট করতে তোমার ঘরে ফেরা উচিৎ। তবে এইবার আর কোনো ভুল হবে না।’

'আমাদের মধ্যে পুরোনো হিসাব এখনও বাকি আছে। সেগুলো মিটমাট করতে তোমার ঘরে ফেরা উচিৎ। তবে এইবার আর কোনো ভুল হবে না।’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছেন ৯ বছর আগে। প্রাণ বাঁচাতে স্বদেশ এবং স্বজাতি ছাড়তে হয় নোবেল জয়ী মালালা ইউসুফজাই’কে। কিন্তু ফের ট্যুইটারের মাধ্যমে মালালাকে হুমকি দিল পাকিস্তানের তালিবান গোষ্ঠীর জঙ্গি তেহরিক-ই-তালিবান।

Advertisment

মালালাকে রীতিমতো হুমকির সুরে তালিবান গোষ্ঠী বলে, 'আমাদের মধ্যে পুরোনো হিসাব এখনও বাকি আছে। সেগুলো মিটমাট করতে তোমার ঘরে ফেরা উচিৎ। তবে এইবার আর কোনো ভুল হবে না।’ মালালা, যিনি একটি তহবিল গঠন করেছেন যা বিশ্বব্যাপী মেয়েদের জন্য শিক্ষার প্রচার করছে। এমনকি নিজের বাড়িতে একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাও করেছেন। এই টুইটকে কেন্দ্র করে সোয়াত সরকার ও সেনাবাহিনীতে শুরু হয়েছে তৎপরতা।

ওই তালিবান জঙ্গির করা এই ট্যুইট থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ২০১২ সালে মালালাকে হত্যার মতো নৃশংস কাজ যে অসমাপ্ত রেখেছিল, সেই কাজ এবার শেষ করতে চাইছে। প্রতুত্তরে মালালা ট্যুইট করেছেন, ‘পাকিস্তানের তালিবান গোষ্ঠীর প্রাক্তন মুখপাত্র হল এহসানউল্লা এহসান। সে এখন সাধারণকে হুমকি দিতে শুরু করেছে। এই জঙ্গি জেল থেকে ছাড়া পেল কিভাবে?"

Advertisment

এমনকী প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে। পুলিশি হেফাজত থেকে কিভাবে ছাড়া পেল এহসানউল্লা, তা জিজ্ঞেস করেন মালালা। ২০১২ সালে পাকিস্তানে থাকাকালীন মালালার ওপর বন্দুকবাজের হামলার মূলে ছিল এহসানউল্লা এহসান। এরপর ২০১৪ সালে পাকিস্তানের সেনা স্কুলের ভেতর প্রবেশ করে ১৩৪ জন পড়ুয়া হত্যার দায় স্বীকার করে জঙ্গি গোষ্ঠী।

সময়টা ২০০৯ সাল। সে সময় পাকিস্তানে চলছে সন্ত্রাসবাদী তালিবানি আগ্রাসন। বিবিসি-র ব্লগ প্রকাশের পরেই তাঁকে নিয়ে সাড়া পড়ে যায় বিশ্বে। ২০১০ সালে তাঁকে নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ এক তথ্যচিত্রও তৈরি হয়। আর যত বিশ্ব তাঁকে চিনতে শুরু করে, তালিবানদের রোষ বাড়তে থাকে। পরিণামে ২০১২ সালে স্কুল থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসবাদীদের গুলির নিশানা হয়ে ওঠেন এই মেয়ে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন