বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন নিয়ে তৈরি হয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান জঙ্গি সংগঠন। তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হাক্কানি গোষ্ঠী। গোঁড়া মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন হাক্কানিদের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ যেমন আছে। তেমনই জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠতার অভিযোগও বরাবরই রয়েছে হাক্কানি সংগঠনের বিরুদ্ধে। যার প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানি।
তালিবান শাসনাধীন আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিনের বাড়ি পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে। রাষ্ট্রসংঘ ২০০৭ সালেই এই জঙ্গি নেতাকে আন্তর্জাতিক অপরাধীর তকমা দিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ আবার সিরাজউদ্দিন হাক্কানির মাথার দাম রেখেছে এক কোটি মার্কিন ডলার। এই সব কারণে এতদিন সিরাজউদ্দিনকে গণমাধ্যমের সামনে আনত না তালিবান জঙ্গি সংগঠন। এবার তার ছবি প্রকাশ করল আফগানিস্তানের বর্তমান শাসকরা। যেখানে সিরাজউদ্দিন হাক্কানির মুখ স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে।
টুইটে ছবিটি প্রকাশ করেছেন তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লা মুজাহিদ। শনিবারই প্রকাশিত এই টুইটে লেখা হয়েছে, 'ইসলামি আমিরশাহির মন্ত্রী খলিফা সাহেব সিরাজউদ্দিন হাক্কানি হাফিজুল্লাহ জাতীয় পুলিশের স্নাতক ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানের সূচনা করলেন।' দেড় দশক হল সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে মোস্ট ওয়ান্টেড ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু, হাক্কানির যে প্রোফাইল তাদের কাছে আছে, সেখানে ছবি বলতে মুখের অর্ধেক শালে ঢাকা এক ব্যক্তি।
নয়াদিল্লি আবার আফগানিস্তানের দূতাবাস-সহ একাধিক ভারতীয় সম্পত্তির ওপর হামলায় সিরাজউদ্দিনকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যদিও, সামনে থেকে সিরাজউদ্দিন হাক্কানির মুখের কোনও ছবি এতদিন ভারতের কাছেও ছিল না। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সিরাজউদ্দিন হাক্কানি তালিবান সরকারে যোগ দিয়েছে। কিন্তু, এতদিন পর্যন্ত তাদের এই মন্ত্রীর ছবি প্রকাশ্যেই আনেনি তালিবান।
আরও পড়ুন- নামেই যুদ্ধবিরতি, ইরপিনে রেলপথ ওড়াল রুশ সেনা, রুদ্ধ বেরনোর পথ
গত অক্টোবরে কাবুলের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বৈঠকের যে ছবি তালিবান প্রকাশ করেছে, তাতেও দেখা গিয়েছে সিরাজউদ্দিন হাক্কানির মুখ হয় পুষ্পস্তবক দিয়ে ঢাকা। অথবা, ইচ্ছাকৃতভাবেই তা ঝাপসা করে দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তালিবান ইচ্ছাকৃতভাবেই হাক্কানির ছবি প্রকাশ করেছে। কারণ, তারা বেশ কয়েক মাস হল ক্ষমতায় এসেছে। এখন তারা আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছ থেকে স্বীকৃতি চায়। তারই ধাপ হিসেবে প্রকাশ করা হল, সিরাজউদ্দিন হাক্কানির ছবি।
Read story in English