কাবুলে ঢুকে পড়েছে তালিবান৷ কোনও লড়াই ছাড়াই কাবুল সীমানায় ঢুকতে শুরু করেছে তালিবানি জঙ্গিরা৷ কাবুলের কাছে কালাকান, কারাবাগ এবং পাগমান জেলায় তালিবানি জঙ্গিরা আধিপত্য বাড়াতে শুরু করেছে৷ আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷ আফগানিস্তানের রাজধানীতে ঢুকে পড়ার পরে তালিবানের তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ তালিবানিরা জানিয়েছে জোর করে আফগান রাজধানী দখলের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।
শনিবার গভীর রাতে জালালাবাদের দখল নেওয়ার পর রবিবার কাবুলের ঠিক পশ্চিমে ময়দান ওয়ারদাকের প্রাদেশিক রাজধানী দখল করে নেয়। আফগানিস্তানের জালালাবাদের দখল পুরোপুরি তালিবানিদের হাতে চলে গিয়েছে৷ দেশের বড় শহরের মধ্যে একমাত্র কাবুলেই এখনও পর্যন্ত আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল৷ রবিবার বেলা বাড়তেই কাবুলের দখলও আফগান বাহিনীর হাত থেকে চলে যেতে বসেছে৷ ইতিমধ্যেই মাজার-ই-শরিফের দখল নিয়েছে তালিবান৷ আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় এক প্রশানসিক কর্তা জানিয়েছেন, রাজধানীর বাইরে সর্বশেষ প্রধান শহরের পতন হয়েছে৷
আরও পড়ুন- শের শাহ দেখে প্রাক্তন প্রেমিক সিদ্ধার্থে মজলেন আলিয়া! ‘তুমি দুর্দান্ত’, লিখলেন অভিনেত্রী
গত আট সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে কট্টরপন্থী এই তালিবানি জঙ্গিরা আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ, লোগার প্রদেশ, কান্দাহার, হেরাত সহ আফগানিস্তানের প্রধান শহরগুলি সহ দখলে নিয়েছে৷ কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শহরগুলির দখল নিতে সক্ষম হয়েছে তালিবান৷ শনিবার তালিবানি জঙ্গিরা মাজার-ই-শরিফে ঢোকার পরেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী৷ প্রতিবেশী দেশ উজবেকিস্তানে পালিয়ে যায় আফগান সেনা। এদিকে, তালিবানি হানায় ঘোর বিপদে আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা৷
ইতিমধ্যেই তালিবানের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন এলাকা থেকে পালিয়ে হাজার-হাজার মানুষ কাবুলে ঢুকেছেন৷ বহু পরিবার ঘরছাড়া অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে৷ রাজধানী কাবুলে এসে গৃহহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন বহু আফগান৷ তাঁবু এবং খোলা জায়গায় প্রকট অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে শয়ে-শয়ে পরিবার৷
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন