ফের প্রকাশ্যে তালিবানি নির্যাতনের ঘটনা। এবার রাষ্ট্রসংঘের কর্মীদের হুমকি-মারধরের অভিযোগ উঠল তালিবানের বিরুদ্ধে। রবিবার এক রাষ্ট্রসংঘের এক কর্মীকে কাবুল এয়ারপোর্টের পথে আটকায় তালিবান। গাড়ি তল্লাশি করা হয়। রাষ্ট্রসংঘের পরিচয় দিতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সোমবার তিন জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আরও এক রাষ্ট্রসংঘের কর্মীর বাড়িতে যায়। তাঁর ছেলেকে বাবা কোথায় জিজ্ঞেস করে। ছেলে মিথ্যা বলছে বলে হুমকি দেয়, আমরা জানি সে কোথায় আছে আর কী কাজ করে। এমন ঘটনা আরও ডজন খানেক হয়েছে গত কয়েক দিনে।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নথি হাতে এসেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে। তাতে নানারকম হুমকি, রাষ্ট্রসংঘের অফিসে লুঠপাট এবং কর্মীদের শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা উল্লেখ রয়েছে। এমনকী তালিবান ক্ষমতা দখলের অনেক আগে ১০ অগস্ট থেকেই চলছে এসব।
সম্প্রতি এরকমই অভিজ্ঞতা হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রসংঘের হয়ে কাজ করা এক মহিলা কর্মীর। তিনি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাঁর মতো অনেক মহিলা ভয় পাচ্ছেন। কাজ করার জন্য শাস্তি পেলে সন্তান-পরিবারের কী হবে এই আশঙ্কায় ত্রস্ত তাঁরা।
আরও পড়ুন তালিবানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা প্রথম মহিলা আফগান মেয়রের
রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক বলেছেন, কাবুলের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, রাষ্ট্রসংঘের কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়া তাঁদের কর্তব্য। তিনি বলেছেন, ৩০০ কর্মীর এক তৃতীয়াংশকে আফগানিস্তান থেকে কাজাখস্তানে নিরাপদে সরানো হয়েছে। আফগানদের সাহায্য করার কাজ চালিয়ে যাবে রাষ্ট্রসংঘ, এমনটাই জানিয়েছেন দুজারিক।
তবে আফগানিস্তানে এখনও তিন হাজার আফগান রাষ্ট্রসংঘ কর্মী রয়েছেন। মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন যাতে এদের নিরাপদে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ভিসা ও অন্যান্য সাহায্য করা হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন