তরুণ বন্দুকবাজের হামলায় টেক্সাসের এলিমেন্টারি স্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯ শিশু-সহ ২১ জনের। গত এক দশকে এমন নারকীয় গণহত্যার নজির নেই আমেরিকায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে। স্কুলের ছাত্র পরিচালন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধিকাংশ শিশু দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। প্রত্যেকের বয়স ৭ থেকে ১০এর মধ্যে ছিল।
Advertisment
হামলার পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিযুক্ত বন্দুকবাজের। জানা গিয়েছে, ইউভালেড কাউন্টির প্রাথমিক স্কুলে গুলিকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা বন্দুকবাজের নাম সালভাদর রামোস। ১৮ বছরের এই যুবক মঙ্গলবার ওই প্রাথমিক স্কুলে ঢুকে হ্যান্ডগান এবং রাইফেল নিয়ে ঢুকে পড়ে। এর পর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে।
ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় ১৯ শিশু। নিহত হন দুজন স্কুলকর্মী। আহত হয়েছে অনেকে। এদিকে ঘটনার পর গুলিকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা বন্দুকবাজ সালভাদর রামোসের মা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাকে ক্ষমা করুন, আমার ছেলেকে ক্ষমা করুন। কান্নায় দু চোখ বুজে আসছিল সালভাদরের মা’র।
অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলেন, “আপনারা দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন। তাঁকে বিচার করবেন না। আমি চাই নিষ্পাপ শিশুরা আমাকে ক্ষমা করুক।তাদের আত্মা শান্তি পাক। আমি জানিনা কেন ও এমন কাজ করল”। হামলার পিছনে থাকা সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “ আমি সত্যি জানিনা ও কেন এমন করল! আমি শুধু চাই নিষ্পাপ শিশুরা আমাকে ক্ষমা করুক”।
এদিকে মার্কিন গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালভাদরের বাবা বলেন, “আমরা জানিনা ও কেন এতগুলো প্রাণকে হত্যা করল, আমি চাই লোকেরা জানুক আমি বাবা হিসাবে আমার ছেলের কাজের জন্য অনুতপ্ত। ও নিষ্পাপ শিশুদের না মেরে আমাকে মেরে ফেলতে পারত। এদিকে ঘটনার দিন সকালে নিজের দিদাকেও নির্মম ভাবে গুলি করে ১৮ বছরের এই যুবক।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, রামোসের দাদু, রোল্যান্ডো রেয়েস বলেন, ছোট থেকে মায়ের সঙ্গে কিছু সমস্যার কারণে ও আমাদের কাছেই থাকত। ঘটনার দিন সকালে আমি বাজারে গিয়েছিল। আমি সামনে থাকলে হয়ত ও আমার ওপরেও গুলি চালাত। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আমি দুঃখিত সেই সব পরিবারের জন্য যারা তাদের স্বজনকে হারিয়েছে”।