Advertisment

‘দুই দেশের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই’, ভারতকে বিশ্বস্ত সঙ্গী তকমা রাশিয়ার

এদিকে, পাকিস্তানের প্ররোচনার জবাব সামরিক অভিযানের মাধ্যমে দেবে মোদী সরকার। এমন সম্ভাবনা উল্লেখ করে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট জমা পড়েছে ইউএস কংগ্রেসে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Indo-Russian Relationship, Moscow, New Delhi, pakistan

ফাইল ছবি।

ভারত, রাশিয়ার বিশ্বস্ত সহযোগী। বুধবার এই দাবি করেছেন রাশিয়ান মিশনের ডেপুটি চিফ রোমান বাবুসকিন। ইন্দো-রুশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই। বরং পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত সমঝোতা রয়েছে মস্কোর। এদিন ইন্দো-রুশ সম্পর্ক প্রসঙ্গে এমন দাবিও করেছে মস্কোর এই দূত।

Advertisment

পাশাপাশি ২০০৩ সালে করা ইন্দো-পাক সীমান্ত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন চুক্তির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন বাবুসকিন। তিনি বলেন, ‘সেই চুক্তি রূপায়ণে দুই পড়শি দেশের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আঞ্চলিক স্তরে স্থিতি বজায়ে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।‘

এদিকে, পাকিস্তানের প্ররোচনার জবাব সামরিক অভিযানের মাধ্যমে দেবে মোদী সরকার। এমন সম্ভাবনা উল্লেখ করে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট জমা পড়েছে ইউএস কংগ্রেসে। তবে পুরোদমে যুদ্ধের সম্ভাবনা উরিয়ে দিয়েছে সেই রিপোর্ট। তবে দুই পড়শি দেশের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। এমন উদ্বেগের সুর শোনা গিয়েছে মার্কিন সেই গোয়েন্দা রিপোর্টে।

সেই রিপোর্টে বলা, ‘নরেন্দ্র মোদীর সরকার পাকিস্তানের প্ররোচনার জবাব সামরিক অভিযানের মাধ্যমেই দেবে। দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা দুই পরমাণু সমৃদ্ধ পড়শির সংঘাত আরও বাড়িয়েছে। কাশ্মীরে অশান্তি এবং জঙ্গি হানা এই দুই রাষ্ট্রের সামগ্রিক সংঘাত আরও সপ্তমে তুলবে।‘

এদিকে, এখনই ভারতের সঙ্গে কোনওপ্রকার বানিজ্যিক সম্পর্ক চালু করতে নারাজ পাকিস্তান। চলতি মাসেই দ্বিপাক্ষিকস্তরে বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খান সরকার। সম্প্রতি পাক মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারত থেকে তুলো আর চিনি আমদানি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তারপরেই কেন্দ্রীয় বানিজ্য মন্ত্রীকে বিকল্প আমদানি সুত্র খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী খান। পাক সংবাদমাধ্যম দা ডন সুত্রে এমনটাই খবর।

এর আগে পাকিস্তানের অর্থনীতিক সমন্বয় কমিটি চাহিদা মেনে ভারত থেকে তুলো-চিনি আমদানির সুপারিশ পাঠিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত সিলমোহরের অপেক্ষায় ছিল সেই সুপারিশ।সেতাই শুক্রবার খারিজ করেছে পাক মন্ত্রিসভা।

এদিকে, গত মাসে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করার জন্য এগিয়ে আসলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া। এর আগে দু’দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য ভারতকে এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সুরেই কথা বললেন পাক সেনা প্রধান। তিনি জানান অতীত ভুলে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ফিরিয়ে আনা যায়।

New Delhi pakistan Indo-Russian Relationship Moscow
Advertisment