ফের মার্কিন মুলুকে কৃষাঙ্গ হত্যা।প্রতিবাদে আগুন জ্বলল রেস্তোরাঁয়। বন্ধ রাস্তা। এদিকে, জাতির অতীতকে মনে রাখার আহ্বান জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়াকে সামরিক আক্রমণের হুমকি দিল কিম জং উনের দেশ। আজ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন এক ঝলকে...
আটলান্টায় কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে খুন, ফের উত্তাল মার্কিন মুলুক
দেশজুড়ে পুলিশি অত্যাচার, বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। এর মাঝেই শনিবার পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলে এক কৃষ্ণাঙ্গকে। ঘটনাটি ঘটেছে আটলান্টায়। সেখানে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এক আফ্রিকান-আমেরিকান। আটলান্টার এই ঘটনায় দেশজুড়ে ফের শুরু নয়া বিক্ষোভ।
ইতিমধ্যেই বিক্ষোভকারীরা সে দেশের বহু হাইওয়ে আটকে রেখেছেন। যে রেস্তোরাঁর সামনে এই ঘটনা ঘটে সেটিকেও জ্বালিয়ে দেন প্রতিবাদকারীরা, এমনটাই খবর নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
A taser is not a deadly weapon. A gun is.
Adrenaline and irritation are not the same as mortal fear.
Running away should not be punishable by death.
Public safety must mean the public is safe. All of us.#BlackLivesMatter #AtlantaShooting #RayshardBrooks https://t.co/44ReSLU4Ev
— Stacey Abrams (@staceyabrams) June 13, 2020
ঠিক কী ঘটেছে?
সে দেশের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা জানিয়েছে, শনিবার রাতে পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে যে এক ব্যক্তি গাড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে রেখেছেন। জানা যায় তিনি ছিলেন ২৭ বছর বয়সি রেয়সার্ড ব্রুকস। এরপর পুলিশ আসলে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করতে গেলে সে পালিয়ে যেতে চায় বলে অভিযোগ। ভিডিওতে দেখা যায় রেয়সার্ড-এর হাতে গুলি করছেন এই পুলিশ অফিসার। পরে হাসপাতালে তাঁর অপারেশন হলেও তিনি মারা যান।
Fire at Wendy's on University Ave in southwest Atlanta raging. A night to remember in Atlanta: Rayshard Brooks shot by an officer, the chief of Atlanta police resigned, and protesters stormed the interstate. Now, fire. #AtlantaShooting #AtlantaProtest pic.twitter.com/Fgjq7jhDiZ
— Ric Garni (@RICGARNI) June 14, 2020
বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে,
আমেরিকার স্বাধীনতায় সেনাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এখনও জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার রেশ রয়েছে মার্কিন মুলুকে। পুলিশের বিরুদ্ধে এখনও সোচ্চার সে দেশের নাগরিকরা। সেই আবহেই ওয়েস্ট পয়েন্টের স্নাতক শ্রেণীর পড়ুয়াদের উদ্দেশে জাতির অতীতকে মনে রাখার আহ্বান জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন যে দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে সেনাদের যে লড়াই ছিল তা আমেরিকাবাসীর ভুলে গেলে চলবে না।
যদিও ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে রাজনীতির ছোঁয়াতেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যা এবং তাঁর মৃত্যু পরবর্তী বিক্ষোভে দেশজুড়ে সমালোচিত হয়েছিল ট্রাম্প এবং পেন্টাগণের নেতাদের কাজ। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এহেন আবহে নিজের নিবার্চনী জনসভাও পিছিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। ১৯২১ সালে ১৯ জুন ওকাহোমাতে শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গদের সংঘর্ষ এখনও আমেরিকার ইতিহাসের পাতায় রয়েছে। সেই কথা ভেবেই আসন্ন ১৯ জুনের সভা পিছিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প, এমনতাই মত রাজনৈতিক মহলের।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সেনা তৈরি, মন্তব্য কিমের বোনের
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আগেই যোগাযোগ ছিন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া। এবার সামরিক আক্রমণের হুমকি দিল কিম জং উনের দেশ। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের বোনের কথায় দক্ষিণ কোরিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের এটাই 'উপযুক্ত' সময়। 'শত্রুর' বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে দেশের সেনাবাহিনী। কিম ইয়ো জংয়ের মতে, দক্ষিণ কোরিয়ার আচরণের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশের চেয়ে ধারাবাহিক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অনেক ভালো।
উত্তর করোয়ার কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থাকে কিম ইয়ো জং শনিবার কথা বলেছেন, 'জঞ্জালদের আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা উচিত। শত্রু বধের জন্য গঠিত শসস্ত্র বাহিনীকে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য নির্দেশ দিচ্ছি। আমাদের দল ও রাষ্ট্রেরও এতে সায় রয়েছে।' এরপরই কোরিয়ো পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও বৈঠকে করেন দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা।
পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার অভিযোগ তোলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেওয়া উত্তর কোরিয়ার দেশত্যাগীরা বেলুনের মাধ্যমে নিয়মিত কিম উন জংয়ের সরকার বিরোধী লিফলেট পাঠাচ্ছে। বার বার সিওলকে এ বিষয়ে আপত্তির কথা জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি। যদিও সেই অভিযোগের জবাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগী উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের বেলুনে করে লিফলেট পাঠানো বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
* সীমান্ত বরাবর পিয়ংইয়ং বিরোধী লিফলেট পাঠানো বন্ধ করতে দক্ষিণ কোরিয়া পদক্ষেপ না করাতেই সম্পর্ক ছিন্ন বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
* উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সমস্ত রকমের যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া, কিন্তু, কিম জং উন শিবিরের পক্ষ থেকে কোনও জবাব মেলেনি বলে দাবি।
* বছরের পর বছর ধরে, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সমালোচনা করে বিশালাকার বেলুনে করে লিফলেট পাঠাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার আন্দোলনকারীরা।
* লিফলেটে কিম জং উনের পরমাণু নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, আন্তঃকোরিয়ান অর্থনৈতিক প্রকল্প পুনরুদ্ধার ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আলগা করতে সোলের ব্য়র্থতার জেরেই পিয়ংইয়ংয়ের এহেন পদক্ষেপ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন