কাতারে ভারতীয় কর্মীদের জন্য় সুখবর। শ্রম আইন সংস্কার করা হচ্ছে। যার ফলে ভারতীয় পরিযায়ী কর্মীরা দারুণভাবে উপকৃত হবেন। অন্য়দিকে, মাদক পাচারকারীদের গুলি করে হত্য়া করার নির্দেশ দিলেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। বিশ্বের এমনই সব খবর পড়ে নিন এক এক করে...
ভারতীয় কর্মীদের জন্য় সুখবর, বদলাচ্ছে কাতারে শ্রম আইন
কাতারে ভারতীয় কর্মীদের জন্য় সুখবর। ২০২২ সালে কাতারে বসতে চলেছে ফিফা বিশ্বকাপের আসর। তার আগেই কাতারে শ্রম আইন সংস্কার করা হচ্ছে। যার ফলে ভারতীয় পরিযায়ী কর্মীরা দারুণভাবে উপকৃত হবেন।
* শ্রম আইন সংস্কারের ফলে কর্মীদের আয় বাড়বে। কর্মীদের বেতন বাড়ানো হবে ২৫ শতাংশ। থাকা-খাওয়া বাবদ কর্মীদের ন্য়ূনতম বেতন হবে ১০০ রিয়াল, যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৯ হাজার ৫৫৬ টাকা।
* পাশাপাশি তীব্র সমালোচিত 'কাফালা' পদ্ধতির অবলুপ্তি ঘটানো হচ্ছে।
*কাফালা পদ্ধতিতে চাকরি ছাড়তে গেলে নিয়োগকারী সংস্থার অনুমতি লাগত কর্মীদের। এই পদ্ধতি তুলে নেওয়ায় সহজেই অন্য়ত্র চাকরি বদল করতে পারবেন কর্মীরা।
* উল্লেখ্য়, সে দেশে বিদেশি কর্মীদের উপর নির্ভরতা অনেকটা বেশি। কাতারে ৬ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় পরিযায়ী রয়েছেন। (Read in English)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
বিশ্বের অন্য় খবর পড়ুন নীচে
মাদক পাচারকারীদের গুলি করে হত্য়ার নির্দেশ ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের
মাদক পাচারকারীদের গুলি করে হত্য়া করার নির্দেশ দিলেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। দেশের শীর্ষ শুল্ক আধিকারিকদের এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও বিচারবহির্ভূত হত্য়ার নির্দেশিকার তত্ত্ব উড়িয়েছেন তিনি, তবে প্রকাশ্য়ে মাদক পাচারকারীদের প্রাণনাশের হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
*মাদক বিরোধী অভিযানে প্রত্য়াঘাত হিসেবেই সন্দেহভাজনদের হত্য়া করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দুতের্তে ও ন্য়াশনাল পুলিশ।
* ব্য়ুরো অফ কাস্টমস কমিশনার রে লিওনার্দো গুরেরোকে নির্দেশ দিয়েছেন দুতের্তে।
* দুতের্তে বলেছেন, ''শুল্ক দফতরের মাধ্য়মে দেশে মাদক ঢুকছে''। আগ্নেয়াস্ত্র ব্য়বহার করতে গুরেরোর অনুরোধে সায় দেওয়ার কথা তুলে দুতের্তো বলেছেন, ''আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ব্য়াপারে অনুমোদন দিয়েছি...ওঁকে সোজাসুজি বলেছি, যে আপনি হত্য়া করুন...আমি আপনার পাশে থাকব, আপনার জেল হবে না। যদি মাদক হয়, তাহলে গুলি চালান এবং হত্য়া করুন''।
*দুতের্তের মাদক বিরোধী অভিযানে ৫ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন নিহত হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
*মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি,কয়েকজন সন্দেহভাজনকে নির্দয়ভাবে হত্য়া করা হয়েছে। হত্য়ার পর সন্দেহভাজনদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হয়েছে, এটাই বোঝাতে যে তাঁরাই হামলা চালিয়েছিল। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, যদি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে প্রমাণ থাকে, তাহলে তারা আদালতে মামলা দায়ের করুক। (Read in English)
বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে