দাউদ ইব্রাহিম, মাসুদ আজহার, হাফিজ সইদদের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ করল পাকিস্তান। এদিকে, ট্রাম্পের এগজিকিউটিভ অর্ডারকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে এবার আইনি লড়াইয়ে নামতে চলেছে চিনা অ্য়াপ সংস্থা টিকটিক। অন্য়দিকে, গান্ধীজির চশমা পাওয়া গেল ব্রিটেনের নিলাম হাউসের চিঠির বাক্সে, নিলামে যার দর উঠল আড়াই কোটি টাকা। বিশ্বের এমনই সব খবর পড়ে নিন এক এক করে...
দাউদ ইব্রাহিম-আজহার-হাফিজ সইদদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ পাকিস্তানের
দাউদ ইব্রাহিম, মাসুদ আজহার, হাফিজ সইদদের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ করল পাকিস্তান। এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে ৮৮টি নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পাক সরকার। যার মধ্য়ে রয়েছে দাউদ, হাফিজ সইদ ও মাসুদ আজহাররাও। তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে একটি সংবাদমাধ্য়মে দাবি করা হয়েছে।
* পাক দৈনিক দ্য় নিউজ সূত্রে খবর, জঙ্গিদলের ৮৮ জন নেতা ও সদস্য়কে নিষিদ্ধ করেছে পাক সরকার। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নয়া তালিকা অনুযায়ীই এ কাজ করা হয়েছে।
*জামাত-উদ-দাওয়া, জইশ-এ-মহম্মদ, তালিবান দইশ, আল-কায়দার মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
*এই সব সংগঠনের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
* উল্লেখ্য়, ২০১৮ সালের জুন মাসে প্য়ারিসের ফিনান্সিয়াল অ্য়াকশন টাস্ক ফোর্স পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১৯ সালের মধ্য়েই পদক্ষেপ করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও করোনা পরিস্থিতির জন্য় ডেডলাইন বাড়ানো হয়।
* প্রসঙ্গত, জঙ্গি দমনে এফএটিএফ-এর নির্দেশিকা পালন না করলে শেষমেশ কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে পাকিস্তানকে। যার জেরে চরম বিপাকে পড়তে পারে ইমরান খান সরকার। এদিকে, লাগাতার ধূসর তালিকায় থাকলে আইএমএফ, বিশ্ব ব্য়াঙ্ক থেকে আর্থিক সহায়তা মেলা পাকিস্তানের জন্য় মুশকিল হবে। (Read in English)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
বিশ্বের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
ট্রাম্পের নির্দেশিকাকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে আইনি লড়াইয়ের পথে টিকটক
টিকটক বনাম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংঘাত তুঙ্গে। ট্রাম্পের এগজিকিউটিভ অর্ডারকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে এবার আইনি লড়াইয়ে নামতে চলেছে চিনা অ্য়াপ সংস্থা। সম্ভবত সোমবারই ট্রাম্পকে এ নিয়ে চ্য়ালেঞ্জ জানাতে পারে টিকটক।
*উল্লেখ্য়, টিকটক ও জনপ্রিয় অ্য়াপের মালিকানাধীন সংস্থা বাইটডান্সের সঙ্গে লেনদেন নিষিদ্ধ করার এগজিকিউটিভ অর্ডারে সই করেছেন ট্রাম্প।
*গত ১৪ অগাস্ট একটি এগজিকিউটিভ অর্ডার জারি করেন ট্রাম্প। যেখানে মার্কিন মুলুকে টিকটিক বন্ধ করতে বাইটডান্সকে ৯০ দিন সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
* গত ৬ অগাস্ট ট্রাম্পের জারি করা এগজিকিউটিভ অর্ডার ঘিরেই আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছে টিকটক। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৪৫ দিন পরে টিকটকের মালিকানাধীন সংস্থা বাইটডান্সের সঙ্গে কোনও লেনদেন করা যাবে না। বাইটডান্সে লেনদেনকারীদের তালিকা চেয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেক্রেটারি অফ কমার্সকে।
*গত ৬ অগাস্টের নির্দেশিকা আন্তর্জাতিক ইমার্জেন্সি ইকোনোমিক পাওয়ার্স আইনের নির্ভরতা থেকে বঞ্চিত করেছে, এই যুক্তিই খাড়া করার ভাবনা টিকটকের।(Read in English)
বিশ্বের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
চিঠির বাক্সে মিলল গান্ধীজির চশমা, নিলামে দর উঠল আড়াই কোটি
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী অর্থাৎ আমাদের গান্ধীজির চশমা ছিল যাকে বলে ‘আইকনিক’। আজও এই গোল্ডেন ফ্রেমের চশমাকে ‘গান্ধী চশমা’ বলেই চেনে লোকে। ভাবলে অবাক হতে হয় গান্ধীজির সেই চশমা পাওয়া গেল ব্রিটেনের নিলাম হাউসের চিঠির বাক্সে, এমনটাই জানিয়েছে বিবিসি। মনে করা হচ্ছে এই চশমা গান্ধীজির ব্যবহার করা সেই চশমাই। শুক্রবার নিলামে যার দর উঠল আড়াই কোটি টাকা।
*সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে ওকেশন হাউসের তরফে জানান হয় যে যিনি তাঁদের চিঠির বাক্সে এই চশমাটি রেখে গিয়েছেন তিনি দাবি করেছেন যে তাঁর কাকাকে গান্ধীজি নিজে এই চশমাটি উপহার দিয়েছিলেন। নিলামের ছ’ মিনিটের মাথায় একজন আমেরিকান কালেক্টর আড়াই কোটি টাকা দিয়ে এই চশমাটি কিনে নেন।
*কিন্তু কীভাবে চিঠির বাক্সে এল এই চশমা? নিলাম সংস্থার কর্মী অ্যান্ড্রু স্টোয়ে বলেন, “আমার মর্নিং ডিউটি ছিল। আমার সতীর্থ লেটার বকে একটি খাম দেখতে পান। সেটা খুলতেই এই চশমা পাওয়া যায়। আর ভিতরে লেখা ছিল এই চশমাটি গান্ধীজির। আমাকে ফোন করুন। আমি ভদ্রলোককে ফোন করে ঘটনাটি জানি।”
বিশ্বের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
নির্বাচন ঘিরে ট্রাম্পের মনে দানা বাঁধছে সন্দেহ
নভেম্বরের নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেল ইন ব্য়ালট পদ্ধতিতে ভোটে কারচুপির যে দাবি উঠছে, তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন ট্রাম্প। কারণ,প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেনের থেকে পিছিয়ে রয়েছেন তিনি।
* শুক্রবার ট্রাম্প বলেছেন, মেল ইন ভোটিং আমাদের দেশের জন্য় অস্বস্তিকর হবে...কে জিতবেন আপনি বুঝতে পারবেন না। এটা খুবই গুরুতর সমস্য়া। এটা নিয়ে কিছু করতে হবে।
* উল্লেখ্য়, এবারের নির্বাচনে করোনাভাইরাসের কথা মাথায় রেকে বহু প্রদেশেই মেল ইন ভোটিং বা নো এক্সিউজ অ্য়াবসেন্টি ভোটিংয়ের পথে হাঁটছে যাতে বুথে গিয়ে ভোট দিতে গিয়ে সংক্রমণের মুখে না পড়তে হয় ভোটারদের।
* ট্রাম্প দাবি করেছেন, মেল ইন ভোটিং প্রসারিত করতে যেসব প্রদেশ মরিয়া হয়ে উঠেছে, তারা কারচুপি ঠেকাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার কথা ভাবছে না।
* ট্রাম্প বলেছেন, নভেম্বরে নির্বাচনের জন্য় পর্যাপ্ত পরিমাণে মেল ইন ব্য়ালট এখনও প্রস্তুত নয় দেশে। কিন্তু পোস্টমাস্টার জেনারেল লুইস ডিজয় জানিয়েছেন, পোস্টাল সার্ভিস প্রস্তুত।
* ট্রাম্প আরও বলেছেন, ''সকলে ভাবছেন আমি ভোট চুরি করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আসলে তার উল্টো, আমি চাই স্বচ্ছ ফলাফল''।
* উল্লেখ্য়, আগামী নভেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যাতে পিছোনো হয়, কয়েকদিন আগে সে ব্য়াপারে টুইটারে রীতিমতো আহ্বান জানান ট্রাম্প। টুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ইউনিভার্সাল মেল-ইন ভোটিং ২০২০ পদ্ধতিতে ইতিহাসে সবথেকে ত্রুটিপূর্ণ ও প্রতারণার নির্বাচন হবে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য় যথেষ্ট অপমানের
বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে