বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পাক সরকার। গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করাতে ন্য়াশনাল অ্য়াসেম্বলির নয়া অধিবেশন ও সেনেট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খান সরকার। আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ন্য়াশনাল অ্য়াসেম্বলির নয়া অধিবেশন ও সেনেট বসার কথা।
*আর্থিক তছরুপ ও জঙ্গিদের আর্থিক মদত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করা হতে পারে। যা আগে সংসদের উচ্চকক্ষে বাতিল করা হয়েছিল।
*এক সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে খবর, নতুন অধিবেশন ডাকার ব্য়াপারে সিদ্ধান্ত নিতে সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা বাবর আওয়ানের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
*সোমবারের বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে খবর।
* ডন সংবাদপত্রকে আওয়ান জানিয়েছেন, ১৪ সেপ্টেম্বর ন্য়াশনাল অ্য়াসেম্বলির নতুন অধিবেশন বসবে এবং ১৫ সেপ্টেম্বর সেনেট বসবে।
* তিনি জানিয়েছেন, নতুন করে আইন প্রণয়নের জন্য় এফএটিএফ সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপ ও টেরোরিস্ট ফিনান্সিং বিল দুই কক্ষে পেশ করা হবে।
* উল্লেখ্য়, ২০১৮ সালের জুন মাসে প্য়ারিসের ফিনান্সিয়াল অ্য়াকশন টাস্ক ফোর্স পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১৯ সালের মধ্য়েই পদক্ষেপ করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও করোনা পরিস্থিতির জন্য় ডেডলাইন বাড়ানো হয়।
* প্রসঙ্গত, জঙ্গি দমনে এফএটিএফ-এর নির্দেশিকা পালন না করলে শেষমেশ কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে পাকিস্তানকে। যার জেরে চরম বিপাকে পড়তে পারে ইমরান খান সরকার। এদিকে, লাগাতার ধূসর তালিকায় থাকলে আইএমএফ, বিশ্ব ব্য়াঙ্ক থেকে আর্থিক সহায়তা মেলা পাকিস্তানের জন্য় মুশকিল হবে। (Read in English)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
চিনকে রুখতে জোটের আহ্বান তাইওয়ানের
চিনের চোখরাঙানি রুখতে উঠেপড়ে লাগছে তাইওয়ান। আগ্রাসী আচরণ ঠেকাতে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে জোট গড়ার আহ্বান জানালেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। চিনের দিকে ইঙ্গিত করেই তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট এমন মন্তব্য় করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য়, দক্ষিণ চিন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালীতে চিনা কার্যকলাপ যেভাবে বাড়ছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে তাইওয়ানের।
* তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলেই দাবি করে চিন। ওই দ্বীপ এলাকার চারপাশে সামরিক কার্যকলাপ বাড়িয়েছে বেজিং। একইভাবে পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের আধিপত্য় কায়েম করতে মরিয়া লাল ফৌজ।
* তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, স্বৈরাচারী আগ্রাসী আচরণের থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে এগিয়ে রয়েছে তাইওয়ান।
*চিনের নাম না করে সাই বলেছেন, ''দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক বিস্তার ঘটছে...ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে''।
* এরপরই তিনি বলেন, আগ্রাসী আচরণ রুখতে আলোচনা করতে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গণতান্ত্রিক ও সমমনোভাবাপন্ন দেশগুলির জন্য় এটাই উপযুক্ত সময়। (Read in English)
বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে