ফের অশান্ত দক্ষিণ আমেরিকা! জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনার ছায়া দেখা গেল ব্রাজিলেও। পাঁচ বছরের শিশু মিগুয়েল ডি সিলভার মৃত্যু ঘিরে অশান্ত হল ফুটবলপ্রিয় এই দেশ। মিগুয়েলের মৃত্যুর পিছনে বর্ণবৈষম্যেকে দেখছেন প্রতিবাদীরা।
ঠিক কী হয়েছে?
এক শ্বেতাঙ্গ মহিলার বাড়িতে কাজ করতেন মিগুয়েল ডি সিলভার মা। করোনার জেরে স্কুল বন্ধ থাকায় মিগুয়েল তাঁর মায়ের সঙ্গেই গিয়েছিলেন ওই বাড়িতে। তাঁর মা যখন ওই বাড়ির পোষ্যটি নিয়ে নীচে নামে তখন সিকিউরিটি ক্যামেরায় দেখা যায় বাড়ির মালকিন মিগুয়েলকে লিফটে করে উপরের তলায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সেখানে পৌঁছে রেলিংয়ের ধারে চলে যায় মিগুয়েল। ছোট শরীর ব্যালেন্স ধরে রাখতে পারে না। উঁচু বিল্ডিং থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর কোলেই ঢলে পড়ে মিগুয়েল ডি সিলভা। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকেই 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স' প্রতিবাদ চলতে থাকে ব্রাজিলে। মিগুয়েলের মৃত্যু সেই আগুনেই ঘৃতাহুতি দেয়। প্রতিবাদীরা বিল্ডিংয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে জনসমুদ্র ফিলাডেলফিয়ায়
এমনটা কখনই দেখেনি ফিলাডেলফিয়ার মানুষ! কিন্তু আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের হত্যায় এক নজিরবিহীন দৃশ্য দেখল ফিলাডেলফিয়া। শনিবার মিউজিয়াম থেকে সিটি হল পর্যন্ত হওয়া র্যালিতে পা মেলাল অগুণিত মানুষ। পুলিশের 'পাশবিক অত্যাচারের' প্রতিবাদে কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হল ফিলাডেলফিয়ার রাজপথ।
*জর্জ ফ্লয়েড মৃত্যুর প্রতিবাদের এটি অষ্টম দিন। জর্জের মৃত্যুর পরই আগুন জ্বলে ওঠে আমেরিকায়
* যদিও এই প্রতিবাদ ঠেকাতে রাত আটটা অবধি কার্ফু জারি থাকে।
* প্রতিবাদকে শান্তিপূর্ণ রাখতে সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছিল।
* এমনকি ৫০০ অতিরিক্ত জাতীয় সেনাবাহিনী এবং ট্যাঙ্কও মজুত রাখা হয়েছিল।
The crowd in Philly is...unfathomable? I can’t even guess. Unbelievable. pic.twitter.com/02ZIcyTXW5
— Bradford Pearson (@BradfordPearson) June 6, 2020
Largest crowd of people I’ve seen at a #Philly demonstration since it started last week. Crowd stretches from Art Museum to the Oval to the Parkway and still growing. Size is comparable to all the concerts and past events held in this area. @NBCPhiladelphia pic.twitter.com/HDmvbkFzer
— Brandon Hudson (@BHudTV) June 6, 2020
Read the story in English
সেনা তুলে নিল আমেরিকা, ট্রাম্পের কাজে হতভম্ব 'বন্ধু' জার্মানি
জার্মানিতে অবস্থানরত ৯৫০০ মার্কিন সৈন্যদের ফিরিয়ে নিল আমেরিকা। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নির্দেশিকার জন্য দীর্ঘদিনের মিত্রপক্ষ জার্মানি কার্যত হতভম্ব। এডজার নোব্লচের শহর বাভারিয়ানে সাত দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সার্ভিস মেম্বাররা থাকত।
* বর্তমান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেলকেও (গ্রাফেনওয়ের মেয়র) সম্প্রতি মার্কিন সেনাদের হাতে ধরা পড়েন। এই ঘটনার পর থেকেই মিত্র আমেরিকার সঙ্গে সম্পরর্কের অবনতি ঘটে শুরু জার্মানির।
* তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মার্কেলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকেনি। বাণিজ্য নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন।
* এমনকী উত্তর আটলান্টিক চুক্তি র প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় নিয়েও মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল।
* জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অংশগ্রহণ নিয়েও এঙ্গেলা মার্কেলের ধমকের মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
*বর্তমানে জার্মানিতে প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি সেনা অবস্থান করছে। যা ইউরোপের যে কোনও দেশের থেকে সবচেয়ে বেশি বলে জানায় সে দেশের সংবাদমাধ্যম।
বিশ্বের সমস্ত খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে