আগামী ৭ নভেম্বর আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। প্রচার অভিযান একেবারে শেষ পর্যায়ে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার দুই যুযুধান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বিডেন মুখোমুখি হলেন বিতর্ক সভায়। ৯০ মিনিটের সেই বিতর্ক সভা উত্তপ্ত হল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাকবিতণ্ডায়। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় যে বাধ্য হয়ে সভার সঞ্চালক ফক্স নিউজের সাংবাদিক ক্রিস ওয়ালেসকে দুজনকে থামাতে হয়।
মার্কিন মুলুকে বর্ণবিদ্বেষী বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে তুমুল হট্টগোল হয়ে ট্রাম্প ও বিডেনের মধ্যে। ট্রাম্প দাবি করেন, মার্কিন সংবাদমাধ্যমে তাঁর করফাঁকি নিয়ে যে প্রতিবেদন বেরিয়েছে তা মিথ্যা। বরং তিনি প্রত্যেক বছর মোটা টাকার আয়কর দিয়েছেন। অন্যদিকে, ট্রাম্পকে বর্ণবিদ্বেষী, মিথ্যাবাদী বলে আক্রমণ করেন বিডেন। ট্রাম্প বারবার বিডেনকে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়ায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী তাঁকে চুপ থাকার জন্য ধমক দেন।
আরও পড়ুন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন ‘মোদী’ই?
বিতর্ক সভার আধ ঘণ্টার মাথায় বিডেনের বক্তব্য রাখার সময় বারবার মাঝখানে বাধা দিচ্ছিলেন ট্রাম্প। তখন রেগে গিয়ে বিডেন তাঁকে ধমক দিয়ে বলেন, "তুমি কি চুপ করবে একটু?"। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে বিডেনের অভিযোগ, "এতদিন উনি মিথ্যা ছাড়া কিছুই বলেননি।" অন্যদিকে, ট্রাম্পের পাল্টা, "বিডেন নিজের ৪৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে উল্লেখযোগ্য কিছুই করেননি।" তাতে রেগে গিয়ে বিডেনের তোপ, "ট্রাম্প আমেরিকার ইতিহাসে সবথেকে জঘন্য রাষ্ট্রপতি।"
ট্রাম্প এদিনের সভায় দাবি করেন, তিনি এতদিন প্রতিবছর লক্ষাধিক টাকা আয়কর দিয়েছেন। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমসের তদন্তমূলক প্রতিবেদনে প্রকাশিত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বছরে মাত্র ৭৫০ ডলার কর দিয়েছেন। তার আগে ১০ বছর কোনও আয়করই দেননি ট্রাম্প। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ভুয়ো খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। সেইসময় পাল্টা বিডেন তাঁকে আক্রমণ করে বলেন, "নিজের আয়কর জমার হিসাব দেখাও।" তার উত্তর ট্রাম্প বলেন, "শীঘ্রই সেটা তুমি দেখতে পাবে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন