তিনদিন চিকিৎসার পরই সোমবার সন্ধেয় হোয়াইট হাউসে ফিরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেনা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করে তিনি ফেরেন হোয়াইট হাউসে। তবে তাঁর ব্যক্তিগত আধিকারিকরা প্রেসিডেন্টের পুরোপুরি সুস্থ হওয়া পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে দেখাসাক্ষাতে বিধিনিষেধ জারি করেছেন। মুখপাত্র জুড ডিয়ার সোমবার রাতে জারি করা বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউস সবরকম সাবধানতা ও সতর্কতা অবলম্বন করছে রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্যের কথা ভেবে। পিপিই ছাড়া কেউই ট্রাম্পের ধারেকাছে ঘেষতে পারবেন না।
সোমবার সন্ধেয় ওয়াল্টার রিড জাতীয় সেনা হাসপাতালের বাইরে বহু মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে। সেখানে তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে জনতার উদ্দেশে অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে হেলিকপ্টারে করে হোয়াইট হাউসের উদ্দেশে রওনা দেন। হোয়াইট হাউসে ফিরে সাউথ পোর্টিকোর ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সমবেত জনতার উদ্দেশে দুই হাত তুলে থাম্বস আপ দেখান। সেইসময় নিজের মাস্ক খুলে ফেলায় তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সদ্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। কিন্তু করোনা সচেতনতা এখনও এল না ট্রাম্পের মধ্যে, বলছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন করোনা চিকিৎসায় ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ট্রাম্পের বয়স এবং ওজন!
এরপরই হোয়াইট হাউসের তরফে প্রেসিডেন্টের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়। সেখানে ট্রাম্প বলেন, "এই ভাইরাস যেন আপনার উপর আধিপত্য কায়েম না করতে পারে তা দেখবেন। আমি জানি এটা ভয়ঙ্কর। কিন্তু আমাকে এটা করতেই হত। আমি সামনে দাঁড়িয়ে আছি নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। আর কোনও নেতা এমনটা করেনি যা আমি করেছি। আমি জানি এতে বিপদ আছে। কিন্তু ঠিক আছে, আমি এখন ভাল আছি। হয়তো আমার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। জানি না সেটা।" এরপরই তিনি বলেন, "শীঘ্রই ভ্যাকসিন আসছে, আপনারা সাবধানে বাইরে বেরোন।"
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর নির্বাচনী প্রচার নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয়। কিন্তু এদিন হাসপাতাল ছাড়ার সময় তিনি টুইট করে জানিয়ে দেন, শীঘ্রই নির্বাচনী প্রচারে ফিরছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ট্রাম্পকে হাসপাতালে সর্বাধিক উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি খুব শক্তিশালী ওষুধ রয়েছে। ট্রাম্পের স্বাস্থ্যেরর উন্নতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর চিকিৎসকরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন