/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/09/Untitled-design-23-1.jpg)
রিকেপ এর্ডোগান।
Kashmir Issue: রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গ টানলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। রিকেপ এর্ডোগান মঙ্গলবার বলেন, ’৭৪ বছর ধরে আমরা কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের পক্ষেই কথা বলছি। রাষ্ট্র সঙ্ঘের গৃহীত প্রস্তাবের মধ্যে থেকে আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করবে দুই পক্ষ। এটাই আশা করি।‘ তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পরেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। তাদের মন্তব্য, ‘এই মন্তব্য অবাঞ্ছিত। অন্যদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করুক তুরস্ক। পাশাপাশি মনোযোগ দিক নিজের দেশে অভ্যন্তরীণ নীতি নির্ধারণে।‘
গত বারেও ভিডিও বার্তায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ উসকে দিয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ পশ্চিম এশিয়ার এই দেশ। এমনকি, ২০২০ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কাশ্মীর প্রসঙ্গে আলোচনা করেন রিকেপ এর্ডোগান। তবে শুধু কাশ্মীর নয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ভাষণে এসেছে চিনের উইঘুর মুসলিম এবং মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমস্যার কথাও।
তাদের স্বীকৃতি নিয়ে তুমুল বিরোধিতা সত্ত্বেও নিজেদের কথা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চায় তালিবান। তাই রাষ্ট্রসংঘের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে চেয়ে রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন করল তালিবান। রাষ্ট্রসংঘে আফগানিস্তানের নতন রাষ্ট্রদূত হিসাবে সংগঠনের মুখপাত্র সুহেল সাহিনকে নিযুক্ত করেছে তালিবান। এই মর্মে বিদেশমমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে চিঠি লিখেছেন।
গত ১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের দখল নিয়ে গোটা বিশ্বকে হতচকিত করে দিয়েছে তালিবান। কিন্তু এখনও তাদের স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের তাবড় দেশ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্তেফান দুজারিক আফগানিস্তানের বর্তমান রাষ্ট্রদূত গুলাম ইসাকজাইয়ের কাছ থেকে একটি বার্তা পান। সেই বার্তায় ৭৬তম জেনারেল অ্যাসেম্বলির জন্য আফগান প্রতিনিধিদের তালিকা দেওয়া হয় দুজারিককে।
পাঁচদিন পর গুতেরেস আরও একটি বার্তা পান ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। তাতে স্বাক্ষর ছিল বিদেশ মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির। সেই বার্তায় রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার আবেদন জানায় তালিবান সরকার। সেই চিঠিতে মুত্তাকি সাফ জানিয়েছেন, আফগান প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে এবং আর বিশ্বের কোনও দেশ তাঁকে আফগান প্রেসিডেন্ট হিসাবে মানছে না। তাই ইসাকজাই আর কোনওভাবে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত নন।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন