ভারতকে উত্তর দিতেই হবে। পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিল ব্রিটেনের আদালত। নীরব এবং তাঁর মামা মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে ১৩,৬০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। গত ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসেই ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান দুজনেই। তারপর ব্রিটেনে আত্মগোপন করেন নীরব মোদী। কিন্তু সেখানেও ধরা পড়ে যান। তাঁর প্রত্যর্পণ মামলা এতদিন বিচারাধীন ছিল। কিন্তু এদিন ব্রিটিশ আদালত সেই সংক্রান্ত অনুমতি দিয়েছে। ভারতে মামলার সম্মুখীন হতে হবে তাঁকে।
এদিন ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, নীরব তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। বিচারক জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের বারাক ১২ নীরবের জন্য আদর্শ জায়গা। তবে ভারতে প্রত্যর্পণ হলেও বিচারব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত করা হবে না তাঁকে। নিজের নির্দোষ প্রমাণ করার সুযোগ তাঁকে দেওয়া হবে।
এদিন আদালতে শুনানির সময় নীরবের আইনজীবী দাবি করেন, মানসিক অবসাদে ভুগছেন তাঁর মক্কেল। তবে বিচারক পাল্টা বলেন, এমন পরিস্থিতি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তিনি এও জানিয়েছেন, নীরব মোদীকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হবে। জেলে মানসিক রোগেরও চিকিৎসা হবে। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ নীরবের মামলায় প্রভাব খাটাচ্ছেন, এমন অভিযোগ খারিজ করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন নীরব। ভারত তাঁর পাসপোর্ট আগেই বাতিল করে দিয়েছিল। কিন্তু গ্রেফতারির পর দেখা যায় নীরবের হেফাজতে একাধিক পাসপোর্ট রয়েছে। তাছাড়া নীরবের কাছে একাধিক রেসিডেন্সি কার্ড রয়েছে। যার মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে থাকার অনুমতি রয়েছে।