একে ওমিক্রন! সঙ্গে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ওমিক্রনের দোসর তার নয়া বংশধর। ঝড়ের গতিতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। অধিকাংশ দেশে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কোভিড আক্রান্তের শরীরেই থাবা বসিয়েছে ভাইরাসের এই নয়া স্ট্রেন। এবার আরও আতঙ্ক বাড়িয়ে আসছে ওমিক্রনের বংশধর। BA.1 এর পর এবার ছড়িয়ে পড়ছে BA.2 প্রজাতির করোনাভাইরাস।
ইতিমধ্যেই এই নয়া ভ্যারিয়েন্টকে সিলমোহর দিয়েছে ব্রিটেন। Omicron 2.0। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যকর্তারা। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত BA.2 ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা গোটা বিশ্বের মধ্যে খুবই কম। ফলে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন 1.0-ই ভ্যারিয়্যান্ট অফ কনসার্ন।
ওমিক্রনের এই নতুন বংশধরকে এই মুহূর্তে তাই ভ্যারিয়্যান্ট আন্ডার ইনভেস্টিগেশন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ এই নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন গবেষকরা। জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে প্রথম ওমিক্রনের এই বংশধরের জন্ম হয়। এখনও পর্যন্ত এই নয়া ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বে ৪২৬। ব্রিটেনেই মূলত এর প্রভাব বেশি রয়েছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত মিউটেশনের পর্যায়েই রয়েছে এটি। ওমিক্রনই শেষ করোনা ভ্যারিয়্যান্ট নয়। আরও ভয়াবহ, দাপুটে ভ্যারিয়্যান্টের হদিশ পাওয়া যেতে পারে আগামী দিনে। এমনটা আগেই দাবি করা হয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।
আরও পড়ুন করোনা অতিমারির শেষ কবে? বড় সড় আপডেট দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
এর আগে ফ্রান্সে নয়া এক ভ্যরিয়েন্টের খোঁজ মিলেছিল যার নাম IHU, আর এবার Omicron 2.0। WHO-এর Covid-19 টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান Maria Van Kerkhove এই প্রসঙ্গে বলেন, 'এই ভাইরাস এখনও রূপ বদলাচ্ছে। ফলে তা ভবিষ্যতে কী রূপ নেবে তা এখনই বলা বা আন্দাজ করা সম্ভব নয়।' নতুন ভ্যারিয়্যান্ট কতটা ভয়াবহ হবে এবং তা কী রূপ নেবে তা এখন থেকে বলা সম্ভব নয় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন আর বাধ্যতামূলক নয় মাস্ক, আগামী সপ্তাহ থেকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ব্রিটেন
এছাড়াও ওমিক্রন মাঝারি উপসর্গের জন্য দায়ী এবং ভ্যারিয়্যান্টের উপর কোনও ভ্যাকসিন কাজ করবে কিনা, এই বিষয়েও নির্দিষ্ট কোনও তথ্য এখনও বিশেষজ্ঞদের কাছে নেই বলে জানা যাচ্ছে। ডেনমার্কে, BA.2 দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ২০২১ সালের শেষ সপ্তাহে সমস্ত কোভিড-১৯ সংখ্যার মাত্র ২০% ছিল, যা ২০২২ সালের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪৫% বেড়েছে। স্টেটন্স সিরাম ইনস্টিটিউট (এসএসআই) এর গবেষক অ্যান্ডার্স ফমসগার্ড বলেছেন, “এই ভাইরাস সম্পর্কে এখনও খুব বেশি তথ্য তাঁর হাতে নেই। তবে তিনি অবশ্যই নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চিন্তিত, তবে আতঙ্কিত নন”। তবে ডেনমার্কের এসএসআই দ্বারা করা প্রাথমিক বিশ্লেষণে BA.1 এর তুলনায় BA.2-এর হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি।