গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে মূল্যবৃদ্ধির সাক্ষী হল রানি এলিজাবেথের দেশ ব্রিটেন। গত মাসেই ইংল্যান্ডবাসী এই রেকর্ডগতিতে মূল্যবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। গৃহস্থালিরই কাজকর্মই হোক বা মোটরে ব্যবহার, সবক্ষেত্রেই ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। তার প্রভাব পড়েছে বাজারে। গত মার্চ থেকে তার আগের বছরের মার্চ। এই সময়কালে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৭ শতাংশ। এই ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ১৯৯২ সালের মার্চের পর এই প্রথম দেখা গেল। বুধবার একথাই জানিয়েছে ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা।
অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, আগামী দিনে আরও ভয়াবহ হতে চলেছে ব্রিটেনের অবস্থা। রকেটের গতিতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি আর পরিস্থিতি সামলাতে করের বৃদ্ধি সবকিছু মিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। সেই অনুপাতে বেতন বাড়বে না। ফলে, ব্রিটেনবাসীর জীবনধারণের মানের অবনমন ঘটবে। সেই অবনমন এতটাই যে, ১৯৫০-এর পর ব্রিটেন আর এমনটা দেখেনি। তবে, শুধু ব্রিটেনেই না। গোটা বিশ্বেই জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। করোনা আর তার পরপরই ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা দ্রুতগতিতে মূল্যবৃদ্ধির কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, করোনা আর যুদ্ধের জন্য চাহিদা বাড়লেও জোগান বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তার প্রভাব পড়েছে বাজারে।
আরও পড়ুন- সিপিএমেও ‘লাভ জিহাদ’-এর অভিযোগ, ‘সংঘ এজেন্ডা’ বলে ওড়াল কেরল নেতৃত্ব
তবে তো শুধু ব্রিটেন নয়। আমেরিকাতেই তো গত একবছরে দ্রব্যমূল্য সাড়ে আট শতাংশ বেড়েছে। এই গতি গত ৪০ বছরে সর্বোচ্চ। এমনটাই জানিয়েছে আমেরিকার শ্রম দফতর। বর্তমানে ইউরোপের ১৯টি দেশ ইউরো মুদ্র ব্যবহার করে। সেখানেও পড়েছে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব। গত মাসে সাড়ে সাত শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। এই নিয়ে গত পাঁচ মাসে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির সাক্ষী হল আমেরিকা। ইংল্যান্ডে আবার গৃহস্থালির কাজ করে যে আয়, তাতে প্রভাব ফেলেছে মূল্যবৃদ্ধি। চলতি বছরে এই আয় ২.২ শতাংশ কমে যাবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটেনে রান্নার গ্যাসের দাম গত একবছরে ২৮.৩ শতাংশ বেড়েছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১৯.২ শতাংশ। ফলে, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
Read story in English