‘ডোজ টিকাই যথেষ্ট, ব্রিটেনে ঢুকে আর করোনা পরীক্ষার দরকার নেই’ নয়া ঘোষণা ব্রিটিশ সরকারের। ইতিমধ্যেই অতিমারীর গেরো কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছে ব্রিটেন। দেশের নাগরিকদের জন্য আগেই বেশ কিছু নিয়মবিধি শিথিল করা হয়েছিল আগেই। এবার ব্রিটেনে আগত যাত্রীদের জন্যও স্বস্তির খবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের যদি টিকার ডোজ নেওয়া থাকে তাহলে ব্রিটেনে এসে তাঁদের আর কোনওরকম পরীক্ষা করাতে হবে না। জনসন সোমবার বললেন, এই দেশ যে ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত, পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত তা বোঝাতেই এই পদক্ষেপ।
পরিবহন সচিব গ্র্যান্ট শাপস জানিয়েছেন, ‘১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। আজ আমরা ব্রিটেনকে মুক্ত করছি।’
ব্রিটেন সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভ্রমণ এবং পর্যটন সংস্থারা, অতিমারির জেরে যাদের তুমুল ক্ষতি হয়েছিল। এই পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য মুক্ত দেশগুলোর মধ্যে চলে এল ব্রিটেন। এয়ারলাইন্স ইউকে সংস্থার আধিকারিক টিম অ্যাল্ডারস্লেড এই সিদ্ধান্তের জেরে গত সোমবারকে (২৪ ডিসেম্বর) ল্যান্ডমার্ক ডে হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
কিছুটা সস্তার উড়ান সংস্থা ইজিজেট-এর সিই জোহান লুন্ডগ্রেন মনে করছেন, ভ্রমণ করতে গেলে করোনা পরীক্ষার দিন এবার অতীত হতে চলেছে। বর্তমানে দু’ ডোজ নেওয়া যাত্রীদেরও ব্রিটেনে ঢোকার দু’দিনের মধ্যে পরীক্ষা করাতে হয়। টিকা না নেওয়া থাকলে তো আরও কঠোর নিয়মবিধির সম্মুখীন হতে হয়। তবে নতুন করে ওমিক্রনের উপপ্রজাতি নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ব্রিটেনে। ইতিমধ্যেই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। ওমিক্রনের থেকেও বেশি সংক্রমক এই স্ট্রেন। তবে ক্ষতিকারক হয়ত নয়। বুধবার ড্যানিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রী ম্যাগনাস হিউনিক বলেন, ওমিক্রনের BA.1 ভ্যারিয়েন্টের থেকে এই 'চোরা ওমিক্রন' সংক্রমক বেশি৷
ইতিমধ্যেই ব্রিটেন এই নয়া উপপ্রজাতি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এই 'চোরা ওমিক্রন'কে আরটি পিসিআর টেস্টেও ধরা যাচ্ছে না, এমনটাও জানান হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের তিনটি উপ-স্ট্রেন রয়েছে -- BA.1, BA.2 এবং BA.3। সেখানে বলা হয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমণের মধ্যে BA.1 সাব-স্ট্রেন প্রভাবশালী আর BA.2 সাব-স্ট্রেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ডেনমার্কে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রনের বি.২ সাব-স্ট্রেনটি।