ইউরোপের নিরাপত্তা নিয়ে আর কী আলোচনা হবে? ইউক্রেন সমস্যা নিয়েই সরগরম জার্মানির মিউনিখ বৈঠক। তারই অবসরে ন্যাটোর নেতা ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠকে ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী জিন-ইভেস লে দ্রিয়ান। মার্কিনদের নেতৃত্বে বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সেই বৈঠকেও উঠল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হামলার প্রসঙ্গ।
মিউনিখ কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সাফ বললেন, 'একটা কথা পরিষ্কার জানাচ্ছি, রাশিয়া যদি ফের ইউক্রেনে হামলা চালায়, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তার সমস্ত সঙ্গীদের নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর এবং অভূতপূর্ব নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। রাশিয়ার কথার সঙ্গে তার আচরণের মিল নেই। আমরা যৌথভাবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করব। যা দ্রুততার সঙ্গে গভীর রেখাপাত করবে। আমরা রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিশানা করব।'
এই মার্কিন হুমকির মধ্যেই শনিবার রাশিয়া ভূমি থেকে ভূমি এবং ভূমি থেকে সমুদ্রে নিশানা লক্ষ্য করে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালাল। শুক্রবারই যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে রাশিয়া এবং বেলারুশ এই যৌথ মহড়ার কথা জানিয়েছিল। এর আগে শনিবার সকাল থেকেই ইউক্রেনের রুশ প্রভাবিত বিদ্রোহী ঘাঁটি ডোনেটস্ক শহর থেকে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- এখনও আলোচনার রাস্তা শেষ হয়ে যায়নি, পুতিনের কাছে অনুনয় বাইডেনের
পূর্ব ইউক্রেনে এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের কারণ জানাতে পারেনি কিয়েভ। তবে, রাশিয়া দাবি করেছে, ওই শহরে ইউক্রেন হামলা চালিয়েছে। বিদ্রোহীদের শহর লক্ষ্য করে গোলাগুলি চালিয়েছে। পালটা, প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বিদ্রোহীরা। যদিও ডোনেটস্ক শহরে হামলার কথা স্বীকার করেনি কিয়েভ। বরং, ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রভাবিত বিদ্রোহীদের ছোড়া গোলার আঘাতে তাদের এক জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন।
কিয়েভের অভিযোগ, মার্কিন এবং ন্যাটো জোটের তত্পরতায় ইউক্রেনে হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়ে বিদ্রোহীদের লেলিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। বিদ্রোহীদের সাহায্যের ছদ্মবেশে মস্কো এরপর কিয়েভের ওপর হামলা চালাতে চায়। এখন সেই প্রস্তুতিই শুরু করেছে মস্কো।
Read story in English