ইউক্রেন সূত্রে খবর, কিয়েভে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। রাতভর মিসাইল হানা চলছে রাজধানীতে যার জেরে একাধিক বহুতল কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য শহরের রাস্তায় মৃতদেহের সারি। এদিনও চেরনিহিভে ১০ সাধারণ নাগরিককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল রুশ সেনার বিরুদ্ধে। আমজনতার প্রাণহানি কমাতে কিয়েভে কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত জারি থাকবে কারফিউ। এর ফলে বিশেষ অনুমতি ছাড়া শহরে কেউ ঘুরে বেড়াতে পারবে না। একমাত্র প্রাণ বাঁচাতে ‘বম্ব শেলটারে’ আশ্রয় নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে ন্যাটো গোষ্ঠীর কাছে আবারও নো-ফ্লাই জোনের আবেদন জানিয়েছে ইউক্রেন।
এরই মধ্যে মারিউপোলে একটি থিয়েটারে নির্বিচারে হামলার অভিযোগ রুশ সেনার বিরুদ্ধে। ইউক্রেন প্রশাসন সূত্রে খবর হামলার হাত থেকে বাঁচার জন্য সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। তাদের মধ্যে রয়েছে মহিলা এবং শিশুও। হামলার ভয়াবহতা এতটাই যে এখনও হতাহতের প্রকৃত তথ্য সামনে আনতে পারে নি ইউক্রেন প্রশাসন। মারিউপোল সিটি কাউন্সিলের তরফে একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে রুশ সেনা হামলা চালিয়েছে থিয়েটারে।
আরো পড়ুন : মানবিক পোল্যান্ড, ১৭ লক্ষ শরণার্থীদের মুখে খাবার তুলে দিতে এগিয়ে এসেছে একাধিক সংগঠন
মারিউপোল সিটি কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে 'শহরে এখনও হাজার হাজার মানুষ আটকে রয়েছে। অনেকেই যুদ্ধের অভিঘাত থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন ওই থিয়েটারেই আর সেখানেই এবার হামলা চালাল রুশ সেনা'। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় আমেরিকার কাছে যুদ্ধে সাহায্য চেয়েছেন। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা।
ইউক্রেন প্রশাসন সূত্র জানা গিয়েছে থিয়েটারটি শহরের দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত। স্যাটেলাইট চিত্র অনুসারে, বোমা ফেলার আগে থিয়েটারের দুই পাশে বেশ কয়েক্তি শিশুকে খেলতে দেখা গিয়েছে। সিটি কাউন্সিলের তরফে এক টেলিগ্রাম বার্তায় জানানো হয়েছে 'হামলায় মুল ভবনের প্রবেশ পথ একেবারেই ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছে'। মারিউপোলের মেয়রের প্রধাণ উপদেষ্টা পেট্রো আন্দ্রুইশচেঙ্কো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'থিয়েটারটি শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। সেখানে প্রায় হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। হামমার সময় অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন'। অন্যদিকে থিয়েটার থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে নেপচুন পুলের একটি বহুতলেও হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। সেখানেও হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।